কিশোরগঞ্জের হাওরে সারা বছর চলাচল উপযোগী সড়ক পরিদর্শন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি ঘুরে ঘুরে সারা বছর চলাচল উপযোগী ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম সড়কসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে প্রস্তাবিত মিঠামইন ক্যান্টনমেন্ট সম্পর্কে অবহিত করা হয়। রাষ্ট্রপতি সংশ্লিষ্টদের দ্রুত উন্নয়ন কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আছিয়া আলমসহ সামরিক, বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতির সাথে ছিলেন।
পরে বিকেলে মিঠামইনে ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অডিটরিয়ামে’ তাঁর নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাষ্ট্রপতি ৮৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে সম্মাননা এবং শিক্ষাবৃত্তি ও সেলাই মেশিন প্রদান করেন।
এ সময় তিনি হাওর এলাকার শিক্ষার্থীদের নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পড়ালেখা করে শুধু ভালো রেজাল্ট অর্জন করলেই চলবে না, মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। আমি সবসময় তোমাদের পাশে থাকব, সহযোগিতা করব। তবে তোমাদের দেশ ও হাওরের জন্য নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে হবে। দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। যেন তোমাদের নিয়ে আমি গর্ব করতে পারি। তোমরা যদি নিজেদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারো, তাহলে এই হাওর আর অবহেলিত থাকবে না। সম্পদে ও মননে উন্নত হয়ে তোমরা দেশকে পথ দেখাবে।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র, কর্মসংস্থান, শিক্ষার অগ্রগতি, নারীর ক্ষমতায়নসহ সামাজিক অগ্রগতিতে এই ফাউন্ডেশন ভূমিকা রাখবে আশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ২০১৩ সালে স্বাধীনতা পদকের দুই লাখ টাকা দিয়ে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মানুষের সহযোগিতায় এ প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি অনেকটাই মজবুত হয়েছে। যে মহান কাজ শুরু হলো তা আমার মৃত্যুর পরও যুগের পর যুগ টিকে থাকবে। মিঠামইন থেকে শুরু করে জেলা এরপর দেশ এমনকি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম।
আগামীকাল রোববার রাষ্ট্রপতি ইটনা সফরে যাবেন। সেখানে তার একটি সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।