মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আগামী বছর থেকে প্রতি বছর সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী ‘স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ’ পালন করা হবে।
সপ্তাহ ব্যাপী সেবা সপ্তাহ পালনের লক্ষে দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এই সেবা প্রদান করা হবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জনগণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সংক্রান্ত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা গ্রহণের জন্য মোবাইল ফোনে সেবা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে ১৬২৬৩ নম্বরে যোগাযোগ করে যে কোনো ব্যক্তি সহজে যেন অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
একই সাথে দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানদেরকে স্বেচ্ছায় এই সেবায় অংশ নিতে আহ্বান জানানোর জন্য সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে স্বাস্থ্য সেবা পাওয়া যায়।
দেশের ৩১টি সরকারি মেডিকেল কলেজে বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের সংকট দূর করতে অবসর গ্রহণকারী অভিজ্ঞ শিক্ষকদেরকে চুক্তিভিত্তিক বা সম্মানী প্রদান ভিত্তিতে ঢাকার বাহিরে বিভিন্ন কলেজে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।
সভায় ইন্টার্নী চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণকাল দুই বছর নির্ধারণ করা, কমিউনিটি ক্লিনিক বা উপজেলা থেকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য রেফারেন পদ্ধতির প্রবর্তন, অ্যানেস্থেশিস্ট সংকট দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ বিষয়ে আলোচনা হয় ।
সভায় অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নুরুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল আহসান খান, বিএমএ’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বিএমডিসির চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষগণসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসিক স্বাস্থ্য আইন প্রণয়ন বিষয়ে এক বৈঠকে সভাপতিত্বর বক্তব্যে মানসিক রোগীদের যথযথভাবে চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে গুরুত্ব প্রদান করে আইনের খসড়া প্রস্তুত করতে কমিটিকে নির্দেশ প্রদান করেন।