পরিবারের লোকজন যখন ইফতার আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত তখন সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছয় বছর বয়সী এক শিশু কন্যাকে কৌশলে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে সাইফুল নামের প্রতিবেশী বখাটে কিশোর।
বুধবার ইফতারের পর সন্ধ্যায় জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙা ইউনিয়নের আউলিয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে ওই দিন রাতেই ১৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত ধর্ষক কিশোর সাইফুল ইসলামকে আটক করে পাকুন্দিয়া থানার আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। সে প্রতিবেশী আবুল কালামের ছেলে। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা বাদি হয়ে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলা দায়েরে করেছেন।
পাকুন্দিয়া থানার আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন যখন ইফতার আয়োজনে ব্যস্ত, তখন এ সুযোগে ওই ছয় বছরে শিশুটিকে কৌশলে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে যায় ওই বখাটে সাইফুল। ও-ই নির্জন কলা বাগানে জোরপূর্বক শিশুটির উপর যৌন নির্যাতন চালায় সে। এ সময় শিশুটির আর্ত চিৎকারে বাড়ি ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে পালিয়ে যায় ধর্ষক সাইফুল। শিশুটিকে কলাবাগান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ খবর পেয়ে বুধবার রাতেই অভিযান চালিয়ে একই গ্রামের নানার বাড়ি থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক সাইফুলকে আটক করে পাকুন্দিয়া থানার আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
আহুতিয়া তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার রাতেই ব্যাপক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক সাইফুলকে (১৪) আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্ষিত ৬ বছরের শিশু কন্যার দাদা এলাকার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা একটি মামলা রুজু করেছেন। আসামিকে আগামীকাল শুক্রবার আদালতে প্রেরন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকতা।