পুলিশের গাড়িতে চড়ে হাওরে নিজের স্বপ্নের প্রকল্প অলওয়েদার সড়ক ঘুরে দেখলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের তিন হাওর উপজেলা (ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম) অলওয়েদার সড়ক ঘুরে দেখেন তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রপতিকে বহন করা গাড়ি চালান বড় ছেলে ও কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক।
গত অর্থবছরে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলাকে যুক্ত করে সারা বছর চলাচল উপযোগী ২৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে সড়ক বিভাগ। এ সড়ক নির্মাণের পর বদলে যায় হাওরের সার্বিক চিত্র।
কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সাথে হাওর অঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বিভিন্ন নদীতে পাঁচটি ফেরি চালু করার মাধ্যমে চালু হয় মোটরযান চলাচল। ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম থানায় পুলিশকে তিনটি নতুন পিকআপ সরবরাহ করা হয়।
সোমবার মিঠামইন থানার পিকআপযোগে বাবাকে স্বপ্নের প্রকল্প অলওয়েদার সড়ক ঘুরে দেখাতে নিয়ে যান রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে ও কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক।
মিঠামইনের কামালপুরে নিজের বাড়ি থেকে অলওয়েদার সড়ক ধরে প্রথমে অষ্টগ্রাম উপজেলার জিরো পয়েন্টে যান রাষ্ট্রপতি। পরে সেখান থেকে একই সড়ক ধরে মিঠামইন ও ইটনা সড়ক ঘুরে দেখেন তিনি।
এ সময় সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা বিশাল অটোরিকশার বহর নিয়ে রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হন। স্বপ্নের সড়ক পরিদর্শন করে আবার গাড়িতে চড়ে নিজের বাড়ি ফেরেন রাষ্ট্রপতি।
পরে মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর আগে নিজের ছোট ভাই ও সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে মরদেহ নিয়ে রোববার (১৯ জুলাই) মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামের বাড়িতে আসেন রাষ্ট্রপতি।