কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে চাঞ্চল্যকর ওমর চান ওরফে সাচ্চু হত্যা মামলার ‘প্রধান পরিকল্পনাকারী’ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাজিতপুর পৌরসভা এলাকার আলোছায়া সিনেমা হলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হলে আদালতের বিচারক মো. আল-মামুন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পিবিআই সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৮ জুন বাজিতপুর উপজেলা সদরের পশ্চিম বসন্তপুর এলাকায় নিজের ভাড়া বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় ওমর চান ওরফে সাচ্চুকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. জামাল মিয়া বাদী হয়ে পরদিন অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে এ বছরের ২৩ মে মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। সন্দেহের জেরে নান্টু মিয়া ও আল-আমিন নামে দু’জনকে আটক করা হলে তারা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আদালতে দেয়া তাদের স্বীকারোক্তিতে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল-মামুনের নাম বলে। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় মামুনকে।
কিশোরগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ব্যবসায়ীক বিরোধের জের ধরে লায়েস মিয়াকে হত্যার জন্য ২ লাখ টাকার চুক্তিতে চার জনকে ভাড়া করেন আব্দুল্লাহ আল-মামুন। কিন্তু ঘটনার দিন ভুল করে লায়েসের ভাই ওমর চান ওরফে সাচ্চুকে হত্যা করা হয়।