সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাস র্যাপিড ট্রানজিট ‘বিআরটি’ প্রকল্পের আওতায় ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক, ৬টি ফ্লাইওভার ও ২৫টি বিআরটি স্টেশনসহ মোট ২০ দশমিক পাঁচ শূন্য কিলোমিটার করিডোর নির্মাণ করা হবে। মন্ত্রী বলেন, ‘আশা করছি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অনেক আকাঙ্ক্ষিত, বহুল প্রত্যাশিত অন্যতম মেগা প্রকল্প পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, চট্টগামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলি টানেল-এর সঙ্গে বিআরটি প্রকল্পও প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করতে পারবেন।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুরের চেরাগ আলীতপ বৃহত্তর ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা জানান।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রতি ঘণ্টায় উভয়দিকে ২০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘হাউজবিল্ডিং থেকে চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ সেতু বিভাগ বাস্তবায়ন করছে, বাকি অংশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ করছে।’
এ করিডোরে দুইটি সংরক্ষিত বিআরটি লেন, চারটি মিক্সড ট্রাফিক লেন, দুইটি অযান্ত্রিক লেন,পথচারীদের জন্য ফুটপাথের ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান সড়ক পরিবহন মন্ত্রী। বর্তমানে প্রকল্পের ৬৩ দশমিক দুই সাত ভাগ অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এ মহাসড়কটি অত্যন্ত খারাপ,যে কারণে জনগণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভোগান্তির শেষ বর্ষাকাল এটাই। তাই বর্ষাকাল শেষ হলেই জনগণের ভোগান্তির অবসান হবে।
ঢাকা-গাজীপুর সড়কের বিআরটি প্রকল্পের ডিজাইনে কোনো ভুল নেই বলে দাবি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আপনারা ভুল বলে কিছুই পাবেন না। মেয়র হানিফ উড়াল সেতুর ডিজাইনেও ভুল থাকার কথা বলা হয়েছিল। চালু হওয়ার পর এরকম কিছুই পাওয়া যায়নি। আর এডিবি ভুল ডিজাইনের কোনও প্রকল্পে বিনিয়োগ করে না। তাদের সঙ্গে প্রকল্প নিয়ে আমাদের বহুবার বৈঠক হয়েছে।’
পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রকল্পের অফিসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে প্রকল্প বিষয়ক মতবিনিময় করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব আবু বক্কর ছিদ্দিক, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুরসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।