নিউমার্কেট এলাকার ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের অন্য এক পুলিশ সদস্যকে থাপ্পড় মারার ভিডিও গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সেটি নিয়েই সর্বস্তরে সমালোচনার ঝড় চলছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের কাছে ওই থাপ্পড়ের ঘটনায় অপেশাদার আচরণ ও পরিস্থিতি না বুঝে গুলির নির্দেশ দেয়ার বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ভিডিও দেখিনি। কী পরিস্থিতিতে এডিসি অন্য সদস্যকে ধাপ্পড় মেরেছেন! রমনার ডিসি যদি রিপোর্ট করেন তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে ছাত্রদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ার নির্দেশ দেন পুলিশের রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। গুলি শেষ হয়ে যাওয়ায় এক সদস্যকে ধাপ্পড় মারার ভিডিও প্রকাশ পায় দেশের গণমাধ্যমে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় ওই ভিডিও। এইসব ঘটনার জের ধরে এডিসি হারুনের প্রত্যাহারও দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
ডিএমপি কমিশনারের ভাষ্য, প্রথমে আমরা চেষ্টা করেছি শিক্ষক এবং ছাত্র নেতাদের মাধ্যমে ছাত্রদের ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করানোর। ব্যবসায়ী নেতাদের মাধ্যমে ব্যবসায়ী-শ্রমিকদেরও মার্কেটের ভেতর নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। শিক্ষক ও ব্যবসায়ীরা এসেছেন, কেউ কেউ হয়তো একটু দেরি করে এসেছেন, তারা আসার পর আমরা ছাত্র ও শ্রমিকদের শান্ত করতে বলছি। যেন কোনো ধরণের সংঘাত না হয়, আমরা শুরু থেকেই সেই চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, যখন দেখছি কেউ কথা শুনছে না তখনই আমরা অ্যাকশনে গেছি। পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। একটা ছাত্র আহত হওয়ায় সারা ঢাকা শহরে আগুন জ্বলে গেল! কিন্তু পুলিশের আসলে এই সংঘাতে কোনো লাভ নেই। আমরাও চাই না সংঘাত হোক বা কেউ আহত হোক।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করে আসছে, পুলিশের আচরণ ও অবস্থান ছিল সবসময়ই ব্যবসায়ীদের পক্ষে।
শিক্ষার্থীদের এই অভিযোগ সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটা পুরোপুরি অমূলক ও ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ। এগুলো তদন্ত বা খতিয়ে দেখার কোনো প্রয়োজন নেই। ১০তলা ভবনের ওপরে উঠে কারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে?