জাতিসংঘকে দ্রুত শান্তিরক্ষী সরাতে বলেছে মালির সামরিক সরকার। কোনো রকম বিলম্ব না করে জাতিসংঘকে এটি বাস্তবায়ন করতে বলেছে তারা। তাদের দাবি, শান্তিরক্ষীরা মালিতে নিরাপত্তা ইস্যুগুলো মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের পর মালির অন্তর্বর্তীকালীন সামরিক শাসক গোষ্ঠীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলায়ে দিওপ জাতিসংঘকে তাগাদা দেন।
মালিতে জাতিসংঘের শান্তি মিশনের প্রধান এল ঘাসিম ওয়ানে বলেছেন, আয়োজক দেশের সম্মতি ছাড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা ‘প্রায় অসম্ভব’।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটি এমন এক সিদ্ধান্ত যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলকে এখনই নিতে হবে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি ক্রিস্টেন সালুমি জানান, মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, শান্তিরক্ষী মিশন প্রায় এক দশক ধরে কাজ করলেও দেশটির সহিংস পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই গেছে। এর ফলে এই বাহিনীর প্রতি মালির সাধারণ মানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে এবং শান্তিরক্ষী বাহিনীকে বিদায় করার জন্য তারা বিক্ষোভও করেছে।
এদিকে, মালিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা ২৯ জুন। তবে এই মিশনের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায়, মালিতে শান্তিরক্ষী বাহিনীর ১৭ হাজার ৪৩০ জন সামরিক-বেসামরিক সদস্য নিয়োজিত আছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি আছেন ১ হাজার ৩৯৬ জন।