কুড়িগ্রামে দুধকুমার ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত। বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের অন্তত ১৫ হাজার পরিবার। এসব এলাকা কাঁচা সড়ক তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার এবং তালুক শিমুর বাড়ি পয়েন্ট ২৭ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তি চরাঞ্চল ও নিম্নাচঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে, ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ফসলের খেত। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে দুধকুমার নদীর অববাহিকার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকডাঙ্গা, ইসলামপুর, চর শতীপুরি, নাগেশ্বরী উপজেলার চর বিষ্ণুপুর, চর লুছনী, ফান্দের চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চেলের অন্তত পাঁচ শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রামের ১৫টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আগামী ৬দিন পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।