ভাতা বাড়ানোর দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে শাহবাগে জড়ো হতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
রোববার (১৬ জুলাই) এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা গেছে, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
চিকিৎসকদের দাবি, পুলিশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গেট বন্ধ করে দিয়ে তাদের আটকে রাখার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসকরা ৩নং গেট দিয়ে বের হয়ে শাহবাগ অভিমুখে আসতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। পরে তারা সড়কে বসে অবস্থান নেন এবং তাদের দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তরা অপারগতা প্রকাশ করেন।
এর আগে, শনিবার (১৫ জুলাই) ‘আশ্বাস নয়, প্রমাণ চাই - ৫০ হাজার টাকা ভাতা চাই’ - এ স্লোগান নিয়ে কর্মবিরতিতে নামেন তারা। ওইদিন সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বাগান গেটে অবস্থান নিয়ে দিনের কর্মসূচি পালন করেন। ভাতা বাড়ানোর দাবিতে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে তারা র্যালি বের করেন; পরে সেটি শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে, গত ১০ জুলাই পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধিদল তাদের দাবির পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে ফিরে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ভরসা রেখে তাদের মঙ্গলবারের পূর্বঘোষিত শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন। কিন্তু তাদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তেমন কোনো সাড়া না পাওয়ায় শনিবার আবারও তারা আন্দোলনে নামেন; যা আজও অব্যাহত ছিল।
উল্লেখ্য, ভাতা বাড়ানোর দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস্ (বিসিপিএস)-এর অধীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। গত ৮ জুলাই বেলা ১১টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন তারা।
ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা এবং এ ভাতা নিয়মিত করার দাবিতে তারা এ কর্মবিরতিতে নেমেছেন।