সরকারি কর্মকর্তারা অবসরে যাওয়ার তিন বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন বছর অতিক্রম হলে পরে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন।
সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান বৈধ কি না, এ সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দিয়ে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর ফলে সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তারা অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
এর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার তিন বছর পর সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিধান প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর হাইকোর্টের শুনানি শেষ হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১২(১) চ ধারা অনুযায়ী, সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের তিন বছর পার না হলে কেউ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এই বিধান চ্যালেঞ্জ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল চলতি বছর হাইকোর্টে একটি রিট করেন।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৯ জানুয়ারি রুল জারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। রুলে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের ওই বিধান কেন সংবিধান পরিপন্থি নয়, তা জানতে চাওয়া হয়। একই বিষয় নিয়ে চলতি বছর করা পৃথক তিনটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে রুল হয়। পৃথক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া রুলের ওপর ৭ নভেম্বর শুনানি শুরু হয়।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত বলেন, পৃথক চারটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া রুল একসঙ্গে শোনেন হাইকোর্ট। পাঁচদিন শুনানি হয়।