পায়েল সাহা ।। বাংলাদেশের শিশুরা আনন্দে শৈশব কাটানোর সুযোগ খুবই সীমিত। বেশিরভাগ গ্রামীন শিশু কম বয়সেই বাবকে সাহায্য করতে কৃষিকাজে নিয়োযিত হয়। মেয়েরা নিয়োজিত গৃহকর্মে। অনেক শিশু শারীরিক মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয়। তারা পরিবারও সমাজ উভয় জায়গাই উপেক্ষিত। বিদ্যমান শ্রম আইনে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করা সত্তেও ব্যাপক শিশু ঘরে ও বাইরে অর্থাৎ কলকারখানা, ওয়ার্কশপে, বাস টেম্পোতে, মোটর গ্যারেজ ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত। গৃহে শিশুনির্যাতন প্রকট আকার ধারন করছে। শিশু শ্রমিকদের শারীরিক ক্ষমতার চাইতে কঠিন কাজ দেওয়া হয়। তাদের অনেকেই বিপদজনক ধোয়া বা গ্যাস সিসা সোডিয়াম সংযুক্ত পরিবেশে কাজ করে। শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে পথশিশু। তারা রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে বাস করে। আমাদের সমাজে নানা কারনে শিশুশ্রম সংগঠিত হয়। এর অন্যতম কারনেই দারিদ্রতা। শিশুশ্রম একটি মানববিরোধী কাজ। শুধু বাংলাদেশ নয় যেকোন দেশের জন্যই এর পরিনতি অত্যন্ত ভয়াবহ এবং লজ্জার। বাংলাদেশের শিশুশ্রম আইন _১৯৯৫ বলবৎ থাকলও এর মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হয়নি। এর জন্য আমাদের সবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশে মতো উন্নয়নশীল দেশে শিশুশ্রম রোধ করতে হবে। কাজের বিনিময়ে শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে ইতিমধ্যে অনেক দারিদ্য পিতামাতাই তাদের সন্তানদের কর্মস্থানের পরিবর্তে বিদ্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে।মানবতার বিকাশ এবং জাতির শিশুশ্রম রোধ করা আবশ্যক। সবার সহযোগিতার মাধ্যমে রোধ করা যাবে।