ঢাবি প্রতিনিধি ।। ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের যে স্থানটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামের ডাক দিয়ে ছিল সে স্থানটি সবার জন্য উন্মোক্ত করে দিয়ে জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানার সু্যোগ দেয়ার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে আজ টানা তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ডিপার্টমেন্ট থেকে জড়ো হয় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। এই সময় স্লোগানে স্লোগানে কম্পিত হয় শিশু পার্কের চারপাশ।
এই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী সেখানে এসে একাত্বতা প্রকাশ করে। অবস্থান ধর্মঘটে যৌক্তিক দাবী করে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন “জাতিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করতেই ইতিহাসকে রাতের আঁধারে গলাটিপে হত্যা করতে চেয়ে ছিলো খুনি জিয়াউর রহমান। বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাস বিকৃতি হলে স্বাধীনতা হবে অর্থহীন। এই বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি”।
পরবর্তীতে বিকেল ৫ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সিনেট মেম্বার আ ক ম জামাল উদ্দিন এসে শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেন।
তিনি বিষয়টি সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করার আশ্বাস দেন।
এসময় ছাত্রদের মধ্য থেকে চার দফা দাবী পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন।
দাবী গুলো হল :
১। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্মৃতি বিজড়িত ও মুক্তিবাহিনীর কাছে পাক-হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের জায়গা দুটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
২। অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা ঐতিহাসিক জায়গা দুটিতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও মুক্তিবাহিনীর কাছে পাক-বাহিনীর আত্মসমর্পণের মঞ্চ সম্বলিত ভাস্কর্য নির্মাণ করতে হবে।
৩। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের লিখিত রূপ (বাংলা ও ইংরেজিতে) প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অপরাধে অবৈধ সামরিক শাসক জিয়ার মরণোত্তর বিচার করতে হবে।
এসময় অারো উপস্থিত ছিলেন এস এম আমিরুল, অভিজিৎ সরকার, ইমরান জমাদ্দার, শের সম্রাট, মাহবুব হোসেন, রিফাত উদ্দিন, রেজাউল করিম রেজা, তৌফিক ইসলাম, তুষার আহমেদ প্রমুখ।
Tags: