রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আ’লীগ দলীয় প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি নৌকা প্রতীকে ১৩৮ টি কেন্দ্রে মোট ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৪ ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী মোহাম্ম মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৪৯২ ভোট।
মোট ৮৭ হাজার ৯০২ ভোট বেশি পেয়ে নগর পিতা নির্বাচিত হয়েছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
এর আগে সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সোয়া ৮টার দিকে নগরীর উপশহর টাউন হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন আ’লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন। ভোট দেওয়ার পর তিনি নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন, নগর আ’লীগের সহসভাপতি ও তার সহধর্মিণী শাহিন আক্তার রেনী এবং তার মেয়ে অর্ণা জামান। তিনি ৬০ থেকে ৭০ হাজার বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
একই কেন্দ্রে বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভোট দিতে আসার কথা থাকলেও তিনি ভোট
দিতে আসেন নি। সবশেষে তিনি নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিপন্ন গনতন্ত্রের কারণে তিনি ভোট দেননি। এর আগে জালভোট, কেন্দ্র দখল আর নানা অনিয়ম অভিযোগের মধ্য দিয়ে রাজশাহী সোমবার সকাল ৮ থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণের পর থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ করে আসছেন বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
দু’একটি পৃথক ঘটনা ছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। একযোগে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণের পর চলে গননা। গণনা শেষে আ’লীগ প্রার্থী লিটনকে বিপুল ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ভোট পরবর্তী সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভোট সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে দাবি করা হয়। তখনি তিনি বলেন, জয় ও পরাজয় মেনে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রাসিকের এবারের নির্বাচনে মেয়রপদে ৫, সাধারণ কাউন্সিলর ১৬০জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ
৬২ হাজার ৫৩ জন এবং পুরুষ ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫ জন।