আজ ৩১ জুলাই ২০১৮ করিমগঞ্জ পাইলট হাইস্কুল মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মাহবুব ইকবাল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কামরুল ইসলাম চৌধুরী মামুন, মোঃ মিজানুর রহমান, আব্বাস উদ্দিন, কাদির চেয়ারম্যান, জিল্লুর রহমান ঠাকুর, জেলা পরিষদের সদস্য ডাঃ সোহাগ, সৈয়দ মোঃ মাসুদ সহ ১১ ইউনিয়নের কয়েক হাজার কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জনগণ নৌকায় ভোট দিতে পারে নাই। এখানকার নৌকার কাণ্ডারীদের মাঝে হতাশা ও চাপাক্ষোভ সর্বত্রই বিরাজমান। আগামী নির্বাচনে ‘লাঙল হঠাও, মাঝিসহ নৌকা ভাসাও’ এই স্লোগান নিয়ে করিমগঞ্জ পাইলট স্কুল মাঠ ময়দান স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। নেতারা বলেন, নৌকার সরকারের ঘাড়ে ভর করে লাঙলের দুষ্ট গরু নৌকার কর্মীদেরকে দীর্ঘদিন যাবৎ হয়রানী করে আসছে। কোন এলাকায় নৌকার মিছিল-মিটিং করতে দিচ্ছে না লাঙলের এমপি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে করিমগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার এমপি দেখতে চায় সর্বস্তরের জনগণ। এমনকি আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার কাছে মাঝিসহ নৌকার আবদার নিয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ। উপস্থিত সিনিয়র নেতাদের বক্তব্যে শোনা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ করিমগঞ্জের ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় জোরপূর্বক লাঙলের কর্মী তৈরি করা হয়েছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নিয়ে লাঙল কমিটি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামীলীগকে মামলা-হামলা দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।
নৌকার কর্মীরা বলেন, তাদেরকে সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখেছে লাঙলের অনুসারীরা। স্বয়ং মন্ত্রী নিজে এসে ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের হয়রানীর নির্দেশ দিয়েছে। যে কারণে করিমগঞ্জ ও তাড়াইলের সকল মানুষ লাঙলের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে মহাজোট সরকারের প্রার্থী হিসেবে নৌকা ছাড়া অন্য কিছু হলে এই আসনটি হাতছাড়া হবে বলেও জানান ডাঃ মাহবুব ইকবাল। কারণ যেই নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে নির্বাচনে জয় এনেছিল দীর্ঘদিন যাবৎ তাদেরকেই নির্যাতন করেছে মন্ত্রী চুন্নু সাহেব। তাই জননেত্রীর কাছে আমার নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার মাঝিসহ নৌকার প্রার্থী থাকবে।