‘‘মায়ের দুধ পান সুস্থ জীবনের বুনিয়াদ’’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশে ১-৭ আগস্ট পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০১৮ পালন উপলক্ষে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের যৌথ সহযোগীতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১ আগস্ট বুধবার বেলা ১১ ঘটিকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হল রুমে ডাঃ মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল মিল্লাত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জ্যোতিশ্বর পাল। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ আবু সাঈদ ভূঁইয়া, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এরশাদ আহমেদ নোমানী, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল ইসলাম আবিরাজ মাষ্টার, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুশফিকুর রহমান, পৌরসভার সচিব কারার দিদারুল মতিন, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরীফুল ইসলাম, প্রেসক্লাব দপ্তর সম্পাদক মোঃ নাঈমুজ্জামান নাঈম, সনির্ভর বাংলাদেশ কুলিয়ারচর উপজেলা শাখার ম্যানেজার মোহাম্মদ ইলিয়াস আলী, প্রশাসনিক সহকারী মোঃ হাবিবুর রহমান সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীবৃন্দ।
আলোচনা সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ১৫ই আগস্টে সপরিবারে নিহত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সহ তাঁর পরিবারের নিহত অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাঘফিরাত কামনা করে স্বাগতিক বক্তব্য শুরু করেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মায়ের দুধের কোন বিকল্প নাই। শিশুর জন্মের ১ ঘন্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ৬ মাসের পর থেকে ২ বছর পর্যন্ত মায়ের বুুকের দুধের পাশাপাশি শিশুদের ঘরের তৈরী পুষ্টিকর নরম খাবার খাওয়াতে হবে। তিনি হাসপাতালের সকল স্টাফদের উদ্দেশ্য করে বলেন,ব্রেস্টফিডিং সম্পর্কে এলাকায় কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য অভিভাবকদের অবগত করতে হবে।