নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চার দিন ধরে কিশোরগঞ্জের সাথে সারা দেশের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মালিক- শ্রমিকরা। এতে বিপাকে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আগত শত শত যাত্রী। শনিবার বিকালে জেলা শহরের গাইটাল ও বত্রিশ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য। স্ট্যান্ডে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে দূরপাল্লার ও আন্তজেলার শতাধিক বাস।
পূর্ব ঘোষিত কোনো ঘোষণা না থাকায় অনেকেই বাস বন্ধের বিষয়টি জানে না। বাস বন্ধ থাকায় টার্মিনাল এলাকায় অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে গন্তব্যে যেতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। ফলে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে এসে স্ট্যান্ড থেকে ফিরে যাচ্ছেন যাত্রীরা। এ দিকে এ সংকট নিরসনে কার্যত কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না প্রশাসন।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, তারা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়ে টার্মিনালে এসে বাস ধর্মঘটের কারণে আটকা পড়েন।
যশোর ও খুলনা থেকে আগত তিন যাত্রী জানান, ছয় দিন আগে বেড়াতে হানিফ পরিবহনে করে কিশোরগঞ্জে আসি। এখন দেখি এসে চারদিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ। তবে অগ্রীম টিকিট কাটা যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাস মাস্টার।
অপরদিকে, বাস ধর্মঘটের কারণে ঢাকাগামী ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বেড়েছে। এমনিতেই ট্রেনের টিকেট পাওয়া মানে সোনার হরিণ পাওয়া, এরপরও শুক্রবার থেকে ট্রেনের টিকিটের জন্য রেলস্টেশনে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। তবে হাতে গোনা দুই একজন ছাড়া কারো ভাগ্যে জুটেনি টিকেট। বাধ্য হয়ে অনেকেই দাঁড়িয়ে থাকা টিকেট নিয়ে কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করেছেন।
কিশোরগঞ্জ পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মুরাদ রেজা যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে শ্রমিকেরা বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন। শনিবার সকালে বত্রিশ বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বাসে বিয়ের যাত্রী নিয়ে নেত্রকোনার উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় বাসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।