স্পট ফিক্সিং তদন্তে সহযোগিতা না করায় গত বছরের ডিসেম্বরে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। যা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন চলতি বছরের এপ্রিলে। কিন্তু চার মাসের ব্যবধানে আবারো নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে এলো নাসির জামশেদের ওপরে। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে বাঁহাতি এই ওপেনারকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শুক্রবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) স্বাধীন দুর্নীতি-বিরোধী ট্রাইবুনাল এই শাস্তি দিয়েছে জামশেদকে। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষেও ক্রিকেট কিংবা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যাপারে অংশ নিতে পারবেন না পাকিস্তানের হয়ে ৪৮ ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলা ২৮ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান।
গত বছর পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল ছয়জন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। জামশেদ তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি অবশ্য নিজের দোষ স্বীকার করেননি। যে কারণে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি তিন সদস্যের একটি স্বাধীন দুর্নীতি-বিরোধী ট্রাইবুনাল গঠন করেন। যেখানে ছিলেন বিচারপতি ফজল-ই-মিরান চৌহান এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার আকিব জাভেদ ও অ্যাডভোকেট শাহজাইব মাসুদ।
তাদের রায়েই শুক্রবার ১০ বছর নিষিদ্ধ হলেন জামশেদ। পিসিবি যে সাতটি ধারায় জামশেদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ গঠন করেছিল, তার মধ্যে পাঁচটিতেই আচরণ ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
পিসিবির আইনি উপদেষ্টা তফাজুল রিজভি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘নাসির জামশেদের বিরুদ্ধে পিসিবি একাধিক অভিযোগ গঠন করেছিল এবং ট্রাইব্যুনালে তা প্রমাণ হওয়ায় তাকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত অন্য পাঁচ ক্রিকেটার হলেন শারজিল খান, খালিদ লতিফ, মোহাম্মদ ইরাফন, মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাহজাইব হাসান। তারা সবাই বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগ করছেন।