কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে অপহরণসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি যুবলীগ নেতা সুমন মিয়াকে (লালবৃ্ত্ত চিহ্নিত) গত বুধবার স্থানীয় সাংসদ ও ওসির পাশে দেখা গেছে। শোক দিবসে দলীয় এমপির সঙ্গে ভুরিভোজে বিতর্কিত এই যুবলীগ নেতার যোগ দেয়া নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম আনন্দ কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিন। অনুষ্ঠান শেষে কলেজ মিলনায়তনে ভুরিভোজ আয়োজনে এমপির সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহাব আইন উদ্দিন, পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহার আলী সরকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বনগ্রাম ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া গত ৮ আগস্ট কটিয়াদী মডেল থানায় দায়েরকৃত ব্যবসায়ী মো. জুনায়েদ অপহরণ মামলার অন্যতম আসামি। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় এক নারীকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।
গত ৮ আগস্ট রাতে মুক্তিপণের জন্য ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে ওই যুবলীগ নেতা সুমন তার ছোটভাই রাজন ও ফুফাতো ভাই বাবুসহ ৭জনকে আসামি করে মামলা নেয় পুলিশ। এদের মধ্যে রাজন ও বাবুকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অপরদিকে পুলিশ অপহরণ মামলার অন্যতম আসামি সেই যুবলীগ নেতা সুমনকে পলাতক দেখালেও তিনি প্রকাশ্যেই তাদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এমনকি থানায় ঘুরাফেরা করার অভিযোগ রয়েছে।
এর আগেও তাকে কিশোরী নির্যাতনের অভিযোগে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে কটিয়াদী মডেল থানার সামনে থেকেই আটক করে পুলিশে দিয়েছিল।
এ ব্যাপারে কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির রাব্বানী বলেন, ১৫ আগস্টে ওই অনুষ্ঠানে আমি এমপির সঙ্গে ছিলাম না। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সুমনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন বলেন, আমার পেছনে কোনো মামলার আসামি দাঁড়িয়ে ছিল কিনা সেটি আমার জানা নেই। সবার মত আমিও ভুরিভোজ অংশ নিয়েছি। আমি দেখলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলতাম।