muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

যাত্রীদের অজানা উৎকণ্ঠা! : কিশোরগঞ্জে এলপি গ্যাসের অপব্যবহার

কিশোরগঞ্জে প্রায় নয়টি উপজেলায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় অহ-রহ এলপি গ্যাস ব্যবহার করছে সিএনজি’র চালকরা। যদিও সিলিন্ডার বিস্ফোরণে যেকোন সময়-যেকোন মুহূর্ত্বে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন অজানা উৎকন্ঠায় রয়েছে জেলার হাজার-হাজার সিএনজি পরিবহন যাত্রীরা।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বিভিন্ন সিএনজি ষ্ট্যান্ড ঘুড়ে দেখা য়ায়, কটিয়াদী,নিকলী,বাজিতপুর,করিমগঞ্জ,তাড়াইল,হোসেনপুর,পাকুন্দিয়া,পার্শবর্তী জেলা ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে যাত্রীবাহী অটোরিক্সায় সিএনজির পরিবর্তে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে । এসব সিলিন্ডার চালকের সিটের নীচে এবং যাত্রী সিটের পিছনে ক্যারিয়ালে উম্মোক্ত ব্যবহার হচ্ছে।

বাংলাদেশ বিস্ফোরণ অধিদফতর কর্তৃক এ জাতীয় পরিবহনে সিএনজি সিলিন্ডার ব্যবহার অনুমতি থাকলে ও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের কোন অনুমতি নেই। এটি সাধারনত বাসা রান্নার কাজে ব্যবহার হয় বলে জানা যায়। সিএনজি সিলিন্ডার প্রকার ভেদে ১২থেকে ১৪ হাজার টাকায় কিনতে হয় এতে গ্যাস রি-ফিলিং করলে এক চতুয়াংশ বাতাস থাকে তবে সিলিন্ডার নিরাপদ। এলপি গ্যাস সিলিন্ডার যথাযথ ২ হাজার টাকাতেই কেনা যায়।  তাতে বাতাসের পরিমান থাকে-না কিন্তু সিলিন্ডার কোনক্রমেই নিরাপদ নয়। এলপি গ্যাস সহজলভ্যতার কারনেই এর ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলছে।

আর যাত্রীদের নিরাপত্তা ঝুঁকি ও বাড়ছে। কিশোরগঞ্জ সদর থেকে দক্ষিনে ৭০কি.মি.দূরে ভৈরবে এক মাত্র সিএনজি রি-ফিলিং ষ্টেশন রয়েছে। গ্যাস সরবরাহে মালিক,চালক দীর্ঘ সময় ও গ্যাস ব্যয় করতে হয় তাই অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনে এলপি গ্যাস ব্যবহারে মেতে উঠেছে সিএনজি মালিক ও চালকরা। উৎসাহিত করছে  অন্যান্যদেরও।

এ কারনে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এলপি গ্যাসের দাম। তথ্য সংগ্রহকালে নাম প্রকাশে অ-নিচ্ছুক নিকলী-কিশোরগঞ্জে যাতায়তকারী এক সিএনজি চালক অভিযোগ করে বলেন,  মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সুযোগ নিচ্ছে ভৈরব থানার পুলিশ। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ভৈরবে গ্যাস  কিনতে গেলে রীতিমত থানার পুলিশ সদস্যরা গতিরোধ করে। গাড়ীতে থানার মাসুয়ারা পরিশোধের ষ্টিকার লাগানো আছে কি না? যেহেতু ভৈরব রোডে নিয়মিত গাড়ী চালাইনা আমাদের মাসুয়ারা দিতে হয়না।

বিপত্তি ঘটে তখনই ভৈরব লাইনের বাইরের কোন গাড়ী গ্যাস কিনতে গেলে। বৈধ সকল কাগজ পত্র দেখিয়ে রেহাই পাওয়া যায় না তাদের কাছে। প্রতিমাসে ৩৫০টাকা জমা দিয়ে মাসুয়ারার বিশেষ ষ্টিকার ব্যবহার করতে হবে অন্যতায় থানা পুলিশের টহল ডিউটি করতে হবে। প্রতিদিন একই রকম ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই সব ঝুঁকি মাথায় নিয়ে এলপি গ্যাস ব্যবহার করছি। শুধু আমি একা নই ৫শ থেকে ৭শ সিএনজি’র চালক এলপি গ্যাস ব্যবহার করছে। পুলিশের চাঁদা-মাসোয়ারা থেকে বাঁচতে  সিএনজি প্রাকৃতিক গ্যাস বাদ দিয়ে এলপি গ্যাস ব্যাবহার করছে  অহ-রহ।

আর অটোরিকশায় এলপি গ্যাস ব্যবহার বন্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।

Tags: