নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের মধ্যে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো আসামি ইফতেখার আহম্মেদের এবং মহানগর হাকিম একেএম মঈনউদ্দিন সিদ্দিকী ১৫ শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন-ইফতেখার আহম্মেদ, নূর মোহাম্মদ, জাহিদুল হক, হাসান, মুশফিকুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালিদ রেজা ওরফে তন্ময়, তরিকুল ইসলাম, রেদোয়ান আহম্মেদ, সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম, আজিজুল করিম অন্তর, মাসহাদ মর্তুজা বিন আহাদ, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার ও মেহেদী হাসান।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম ১০ জন বাড্ডা থানার এবং পরের ৬ জন ভাটারা থানার মামলার আসামি। বাকিরা ইস্টওয়েস্ট, নর্থসাউথ, সাউথইস্ট, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আসামিপক্ষে জামিন শুনানি করেন কবীর হোসাইন, আকতার হোসেন সোহেল, মাইদুল ইসলাম পলক প্রমুখ আইনজীবী।
শুনানিতে তারা বলেন, এরা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গত ৬ আগস্ট থেকে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত কারাগারে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। সামনে তাদের সেমিস্টার পরীক্ষা। এমতাবস্থায় আমরা তাদের জামিন মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
এদিকে জামিন শুনানিকালে শিক্ষার্থীদের কারো মা-বাবা, কারো ভাই-বোন, বন্ধু আদালতে উপস্থিত হন। জামিনের আদেশ শুনে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা যেন মামলা থেকে অব্যাহতি পায় সেই দাবি জানান তারা।
তবে জামিন শুনানিকালে শিক্ষার্থীদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি।
গত ৭ আগস্ট ২২ শিক্ষার্থীর দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ৯ আগস্ট আসামিদের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এদের মধ্যে দুদফায় কয়েক শিক্ষার্থীর জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।