মোঃ আব্দুল জলিল, করিমগঞ্জ (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি ।। কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণের ব্যাপারে করিমগঞ্জ পৌরসভা ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ঈদের দিন বিকেল ৪টার মধ্যে পুরো নগরের জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পৌরসভার ১৯টি পয়েন্টে পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌরসভার নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং করা হয়েছে।
গত মাসিক সাধারণ সভায় করিমগঞ্জ পৌরসভা মিলনায়তনে পশু জবাই সংক্রান্ত পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়।
কোরবানীর পশু জাবাইয়ের ১৯টি পয়েন্টের মধ্যে-পৌরসভার –
★ ১নং ওয়ার্ডে২টি। যথা আশুতিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও গো-হাট।
★ ২নং ওয়ার্ডে ২টি। যথা- কলাতুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও তেলীপাড়ায়।
★ ৩নং ওয়ার্ডে ২টি। যথা- খুদিরজঙ্গল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও স্বনির্ভর সম্মূখ।
★ ৪নং ওয়ার্ডে ২টি। যথা- চড়পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও ফকির পাড়া নান্নু সরকারের বাড়ি।
★ ৫নং ওয়ার্ডে ৩টি। যথা- মোরগ মহাল, পাটমহাল ও হাসপাতাল রোড।
★ ৬নং ওয়ার্ডে ২টি। যথা- বাহাদুরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও আয়লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ।
★ ৭নং ওয়ার্ডে ২টি। যথা- নয়াকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও নয়াকান্দি মোড়।
★ ৮নং ওয়ার্ড কলাতুলীই ২টি। যথা- আনন্দ বাজার ও জোঁকার মাঠ।
★ ৯নং ওয়ার্ডে ২টি। যথা- শান্তিনগর মোড় ও বিদ্যানগরের মোড়।
সভাপতির বক্তব্যে পৌর মেয়র হাজী আব্দুল কাইয়ুম পৌরবাসির উদ্দেশ্যে বলেন, কোরবানী পশুর বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য করিমগঞ্জ বাজারে কসাই খানার পাশে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে পানির সরবরাহ, তাঁবু টাঙানো এবং ব্লিচিং পাউডারের ব্যবস্থা রেখা হয়েছে। সেই সাথে ১৯টি পয়েন্ট থেকে বর্জ্য আনার জন্য তিনটি বর্জ্যবাহী কাভার্ড ভেন মোতায়ন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নির্ধারিত স্থান ছাড়া উন্মুক্ত স্থান বা সড়কে পশু জবাই করা যাবে না। তবে কেউ চাইলে তাঁর বাড়ি বা বাসার আঙিনায় পশু কোরবানি দিতে পারবেন। ঈদের দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে পুরো নগরে কোরবানীর দিন জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ এবং ঈদের পরের দিন শেষরাত পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১৯টি পয়েন্টের কার্যক্রম স্ব সস্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলররা তদারকি করবেন।