প্রাণোচ্ছল হাসিই প্রমান দেয়;খেলাই জীবনীশক্তি, খেলাই আনন্দ। যে ছেলে মাঠে যায়, সে কখনো মাদক সেবন করতে পারে না। খেলাই সুস্থ বিকাশ ঘটায় জীবনের। বিপথগামীতা থেকে রক্ষা করে, জীবনের বিকশিত রুপটিই ফুটিয়ে তোলে।
মাঠের খেলা থেকে জীবনের অনেক নিয়ম ও শেখা হয় তরুণদের। কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে সামাজিকীকরণ ভাবে চলা, সম্মিলিত মনোভাবে এগিয়ে চলা, বিপক্ষ শক্তিকে নৈপুণ্য ভাবে প্রতিহত করা আরো কত নিয়মানু বর্তিতার। মানসিক গঠনে খেলা খুবই প্রভাব ফেলে তরুণ মনে। মাদকের ছোবল থেকে এই খেলাই পারে রক্ষা করতে।
কিন্তু এই খেলার পরিবেশ দিন দিন বিরুপ হচ্ছে। মাঠের অভাব, প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনার অভাব, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, সম্মিলিত হওয়ার অভাব, আরো নানা কারণে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহী খেলা। তবুও যখন কোনো উপলক্ষে খেলার আয়োজন করা হয় তখন বোঝা যায়, কতটা খেলা প্রিয় এই বাংলা। নব সাঁজে সেজে মেতে উঠে তরুণরা।
তাদের এই মেতে উঠাকে দমে দিতে যাওয়া যাবেনা। ধরে রাখতে হবে। খেলার মাঠ এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে খেলার সুযোগ করে দিতে হবে। সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে খেলার আয়োজন করতে হবে, তবেই রক্ষা পাবে তরুণ সমাজ অপকর্ম থেকে। জেগে উঠবে মনুষ্যত্ব, জেগে উঠবে ভিতরের মানুষ, জেগে উঠবে ঐক্যবদ্ধ মনোভাব, তাই খেলার সুযোগ করে দিতে হবে তরুণদের।
সোহাগ মনি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়