মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ সমঝোতার মাধ্যমে রেহাম খানকে তালাক দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। শুক্রবার তেহরিক ই ইনসাফের মুখপাত্র নিয়ামুল হক পাকিস্তানের পত্রিকা ডনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মাথায় তারা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটালেন।
গত ছয় মাস ধরে এই দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলে আসছিল। কিন্তু বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইমরান-রেহামকে একসঙ্গে দেখা গেছে। গত মাসেও এক টুইটের মাধ্যমে টিভি চ্যানেলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইমরান বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা সত্য নয়। এসব গুজব। আপনারা এ ধরনের ভিত্তিহীন খবর প্রচার থেকে বিরত থাকুন। তার একমাস পরেই বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটলো।
ইমরানের বরাত দিয়ে নিয়ামুল হক বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে মিডিয়াগুলোকে সংবেদনশীল খবর প্রকাশের কথা বলেছেন ইমরান খান।
এদিকে এক টুইট বার্তায় ইমরান বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদ তার, রেহামের এবং তাদের পরিবারের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। তাদের পারিবারিক সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
ইমরান খান বলেন, বিচ্ছেদের বিষয়ে আমাদের মাঝে আর্থিকভাবে কোনো সমঝোতা হয়নি। তিনি বলেন, রেহামের নৈতিক চরিত্র এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের নিয়ে কাজ করাকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমরানের এক ঘনিষ্ট ব্যক্তি জানান, রেহাম রাজনীতিতে আসতে চেয়েছিলেন। ঘরে বসে থাকতে চাননি। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি ইমরান। ইমরান চাননি রেহাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ুক।
তিনি বলেন, এছাড়া আরো অনেক সমস্যা ছিল যেগুলো সমাধান করা যেত। কিন্তু রাজনীতিতে আসার বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে এ বিচ্ছেদ।
ইমরানের ঘনিষ্ট আরো একজন ডন অনলাইনকে জানান, ইমরানের পরিবার থেকে রেহামকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য যথেষ্ট চাপ ছিল। এদিকে বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি রেহাম। তিনি এক টুইটে লেখেন, আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে টিভি সাংবাদিক রেহামকে বিয়ে করেন ইমরান খান। এর আগে ২০০৪ সালে ইংলিশ সাংবাদিক জেমিমার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ইমরানের। ইমরানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে রেহাম ইজাজ নামে এক মনোবিজ্ঞানীকে বিয়ে করেছিলেন। তাদের ঘরে তিন সন্তান আছে।