২০১৪ বিশ্বকাপে যখন জার্মানি শিরোপ ঘরে তুলে তখন পুরো দেশ ওজিল বন্ধনায় মেতে। উঠে আর ২০১৮ তে জার্মানির ভরাডুবিতে সব চিত্র পাল্টে যায়। বর্ণবাদের শিকার হন তুর্কী বংশোদ্ভূত এ জার্মান ফুটবলার।
রাশিয়া বিশ্বকাপে আসলে জার্মানির ভাগ্য সহায় ছিল না। না হলে দুর্দান্ত আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি তারা। অথচ গ্রুপ পর্বে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করেছে জার্মানি। শুধু ওজিল নয়, দ্য টিমের কেউই পারফরম করতে পারেননি অথচ সব দায়ভার এসে পড়ে মেসুত ওজিলের ঘাড়ে। শেষ পর্যন্ত সেই জ্বালা সইতে না পেরে বর্ণবাদ ও অসম্মানের অভিযোগ টেনে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান তিনি।
তবে সেই ঘটনা নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি কোচ জোয়াকিম লো। কয়েক মাস অতিক্রম হলেও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। অবশেষে তা নিয়ে মুখ খুললেন জার্মান কোচ। বললেন, এক ওজিলের কারণে বিশ্বকাপে ভরাডুবি ঘটেনি জার্মানির। নেপথ্যে অন্য কারণ আছে।
২০০৬ সালে জার্মানির দায়িত্ব নেন জোয়াকিম লো। এর মাঝে এনে দেন বিশ্বকাপ। ২০১৮ বিশ্বকাপে দলের বিপর্যয়ের পর ভেঙে পড়েন তিনিও। জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেন। তবে জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের (ডিএফবি) অনুরোধে সেখান থেকে সরে আসেন। তবে ওজিলের হঠাৎ অবসরে বিস্মিত এ জাদরেল কোচ, বিষয়টি নিয়ে সে আমাকে কিছুই জানায়নি। এতে দারুণ হতাশ হয়েছি। আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করেছি। বিশ্বকাপ জিতেছি। কিছু ভালো স্মৃতি তো আছেই। ও আমাকে অবসর নিয়ে কিছু জানাতে পারত।
তবে ওজিল যে বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন তা অবলীলায় স্বীকার করেছেন ৫৮ বছর বয়সী কোচ। কিন্তু এ কারণে দল হারেনি বলে মত তার। তিনি বলেন, ওর প্রতি অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বর্ণবাদের স্বীকার হয়েছে। এটি এক অর্থে অসম্মানই। এ কারণে বিশ্বকাপে জার্মানির এমন বিপর্যয় ঘটেনি।
বিদায় নিলেও নানা কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন ২৯ বছরের আর্সেনাল মিডফিল্ডার। লো বলেন, গেল ২৫-৩০ বছরে জার্মানির সেরা খেলোয়াড় ওজিল। ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। তুর্কি বংশোদ্ভূত। এসব কারণে নানা সময়ে আলোচনার খোরাক জোগাবে সে।