কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক কৃষকের বাড়িতে হামলা, বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মোঃ লিলু মিয়ার পুত্র কৃষক মোঃ নাজিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ২৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব মাষ্টারের (৬৫) নির্দেশে আহাম্মদ আলীর পুত্র বাদল মিয়া (৪৮) ও নান্নু মিয়ার (৫৮) নেতৃত্বে প্রায় ১৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে তাদের বাড়িতে হামলা করে দুটি ঘর ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা নগদ টাকা স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় । বাঁধা দিতে গেলে হামলাকারীরা ওই কৃষকের স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে মারধর সহ শ্লীলতাহানী ঘটায় এবং তার পিতা লিলু মিয়াকেও (৬০) এলোপাতারি মারধর করে। ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আহত লিলু মিয়াকে উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। আহত সুফিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় । নাজিম উদ্দিন আরো বলেন, তিনি বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন ২৯ আগস্ট বুধবার বাদল মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা রজু হয়নি।
হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল ওয়াহাব মাষ্টার বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নাজিম পক্ষ ও বাদল পক্ষদের মধ্যকার ঝগড়ার সংবাদ পেয়ে প্রায় এক ঘন্টা পর দু’পক্ষের বাড়িতে গিয়ে আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করেছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্বাস উদ্দিন ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোঃ মাসুদ রানা আব্দুল ওয়াহাব মাষ্টারের নির্দেশে হামলা, বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ ঘটনার জন্য আব্দুল ওয়াহাব মাষ্টারই দায়ী।
নাজিম উদ্দিনের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নান্নু মোল্লা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।