বিরল এক রোগে (Right sub occipital Encephalocoele with Obstructive Hydrocephalus) আক্রান্ত কিশোরগঞ্জ জেলার ১০ বছরের শিশু মারিয়া। অর্থাভাবে সু-চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে মেয়েটি। মারিয়া জেলা শহরের গাইটাল (জেমিনি রোড) এলাকার আব্দুল আলীর মেয়ে। গত রমজানে পিতা আব্দুল আলী পরিবার ফেলে চলে গেছেন। তারপর থেকে তাঁর আর কোন খোঁজ মেলেনি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় হঠাৎ মারিয়ার মাথা ও ঘাড়ে ব্যথার সৃষ্টি হয়। ২ বছর পূর্বে একজন সমাজসেবীর সহায়তায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়ে গেলে সেখানে ডাক্তার জানান তার ব্রেইন টিউমার হয়েছে। অপারেশন লাগবে। সেখানে অপারেশনের পর একটানা ৩ মাস চিকিৎসা শেষে ১ মাসের ছুটিতে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে আর্থিক টানাপোড়ানের কারণে তাকে আর চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারেনি তার পরিবার। অপারেশনের পরে ধীরে ধীরে মারিয়ার কথা বলা, হাঁটা চলা ও চোখে দেখা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে তার মাথায় ৩টি টিউমার রয়েছে।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পেলে সুস্থ হয়ে মেয়েটি স্কুলে যেতে পারবে এমনটি আশা করে মারিয়ার মা মাজেদা আক্তার বলেন, আমার মেয়ের মাথার এ রোগের বিস্তার দিন দিন ভয়ংকর হওয়ার পর্যায়গুলো আমি দেখেছি। কিন্তু আর্থিক অভাবে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছি।
বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীলকে অবহিত করলে মারিয়াকে দেখার জন্য তিনি সরেজমিন তার বাড়ি যান। পরিদর্শন শেষে তিনি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়ার সাথে কথা বলেন এবং মারিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে পরামর্শ চান। ডা. সুলতানা রাজিয়া এডিসি জেনারেলকে আশ্বস্ত করেছেন মারিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তার অসুস্থতার বিষয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করে প্রকৃত অবস্থা নির্ণয়পূর্বক পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।
মারিয়ার মা মেয়ের সুচিকিৎসার জন্য দেশ-বিদেশের বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেছেন।