কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৩ সন্তানের জনক ধর্ষক মহি উদ্দিন (৪২) উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মিয়া হোসেনের পুত্র ও ধর্ষিতার পিতার কথিত বন্ধু।
ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দামপাড়া কেএমইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ছাত্রীর বাবা ভোট দিতে বিদ্যালয়ে যান। ছাত্রীর মা তার ভাই বৌয়ের প্রসবজনিত কারণে কিশোরগঞ্জ সদরে অবস্থান করেন। এ সুযোগে পিতার কথিত বন্ধু একই গ্রামের মহি উদ্দিন ছাত্রী বসত বাড়ি লাগোয়া গরু শূণ্য গোয়ালঘর দেখতে গেলে ছাত্রীটিকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ছাত্রীর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী দৌড়ে এলে ধর্ষক মহি উদ্দিন পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ধর্ষক প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য হওয়ায় একটি চক্র ছাত্রীটিকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, মহি উদ্দিন ও তার ভাইয়েরা এমন একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রভাবশালী হওয়ায় বরাবরই তারা ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন ভূূঁইয়া মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে জানান, অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।