আজ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে ‘দারুল আরকাম’ ইবদেতায়ী মাদ্রাসা কারিকুলাম সিলেবাস ও পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপ-সচিব তরফদার মোঃ আক্তার জামীল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ ফারুক আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন হয়বতনগর এ.ইউ.কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আজিজুল হক, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।
উপস্থিত বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসা ও ইবতেদায়ী মক্তবের পরিসংখ্যান কোন সরকারের আমলেই করা হয়নি। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ‘দারুল আরকাম’। যেখানে হযরত ওমর (রাঃ) ইসলাম শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছিলেন ও ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন সেই জায়গার নামানুসারে বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর মাদ্রাসা কারিকুলাম সিলেবাস ও পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ‘দারুল আরকাম’ প্রতি উপজেলায় দুটি করে প্রতিষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে একটি সিলেবাসের আওতায় সমস্ত কওমী মাদ্রাসাকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। সেই আলোকে আজকের প্রশিক্ষণে কওমী ও আলীয়া মাদ্রাসার মুহতামীম ও অধ্যক্ষ এবং কলেজ ও স্কুলের শিক্ষকদের সম্মিলিত ৯০ জন বিজ্ঞ শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে আজকের সুপারিশমালা কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে উপস্থাপিত হয় যা ‘দারুল আরকাম’ মাদরাসার কারিকুলামের সুপারিশমালায় থাকবে সারাদেশের মুহতামিম ও অধ্যক্ষদের মতামতের সাথে।
প্রধান অতিথি বলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলাম। আমাকে বইয়ে যা লেখা ছিল তা হুবহু বোর্ডে লিখে দেওয়া হতো। সে মোতাবেক মুখস্ত করে ভাল রেজাল্টও করেছি। কিন্তু আমাদের নৈতিকতা ও আদর্শ শিক্ষা মক্তব থেকেই পেয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দারুল আরকাম মাদ্রাসাটি বর্তমান প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত জরুরী। আমি মনে করি যে সুপারিশমালাগুলো অভিজ্ঞ হুজুর, মুহতামীম, অধ্যক্ষ, স্কুল ও কলেজ এর শিক্ষকবৃন্দের সম্মিলিত সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে, এটিই হবে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আর্শীবাদস্বরূপ। তাই প্রধানমন্ত্রীর দারুল আরকাম মাদ্রাসাটির যথাযথ সাফল্য বয়ে নিয়ে আসবে সকল শিশুর জন্য।