কিশোরগঞ্জে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট কালোবাজারিতে থাকায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে কাউন্টার থেকে টিকেট কিনতে পারছেন না সাধারণ যাত্রীরা। সাধারণ যাত্রীরা টিকেট কাটতে গেলেই অনলাইনের অজুহাত দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। ফলে ষ্টেশনে ১০ দিন আগে গিয়েও কাউন্টার থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর এগারসিন্ধুর ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের কোন টিকেট পাচ্ছে না তারা।
প্রায়শই বলা হয়, ‘টিকেট নেই, অনলাইনে বিক্রি হয়ে গেছে’। বাধ্য হয়ে যাত্রীদেরকে কালোবাজারে চড়া দামে টিকেট কিনতে হয়। এতে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনসহ জেলার গচিহাটা, মানিকখালি, সরারচর, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর ও ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে কালোবাজারিদের হাতে জিম্মি সাধারণ যাত্রীরা। রেল পুলিশ থেকে শুরু করে স্টেশনের স্টাফরা এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে সবসময়ই অভিযোগ উঠছে। স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কয়েকজন কালোবাজারিকে কারাগারে পাঠালেও কয়েকদিন পর জামিনে বেরিয়ে আবার স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় এবং দুর্নীতিপরায়ণ রেলওয়ে স্টাফের যোগসাজশে আগের মতই কালোবাজারিতে মেতে ওঠে।
স্টেশনের কর্মকর্তারা নিজেদের দোষ আড়াল করতে গিয়ে বলেন, এখন স্টেশনে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কাজেই টিকেট কালোবাজারে বিক্রির সুযোগ নেই। তবে আগে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কিনতে গেলে ধরা সহজ হতো। এখন অনলাইনে আগেই টিকেট বের করে তুলে দেয়া হয় কালোবাজারিদের হাতে। আর এগুলো বিক্রি করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার আড়ালে। কাজেই সিসি ক্যামেরা বসালেও গ্রাহকরা কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনে একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে রেলের টিকেট কালোবাজারে বিক্রি করে আসছে। এতে রেলস্টেশনের কতিপয় কর্মচারী জড়িত এমন অভিযোগ রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, কাউন্টারে গিয়ে টিকেট পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে অনেকে টিকেট কিনতে কাউন্টারে না গিয়ে কালোবাজারিদের কাছে থেকেই টিকেট কিনে থাকেন। কাউন্টারে শোভন চেয়ার টিকেটের মূল্য ১৪০ টাকা। কিন্তু সেই টিকেট ৩০০ টাকার বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।