রাজশাহীর বাগমারায় স্ত্রী হত্যার দায়ে এক যুবকের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক। একই সঙ্গে এ মামলার অপর তিন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমান না হওয়ায়
তাদের বেকুসর খালাস দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে আদালতের বিচারক নিলুফার সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম আবদুল কুদ্দুস (৩০)। সে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার সাইধারা গ্রামের মেহের আলীর ছেলে। এ মামলায় কুদ্দুস ও তার মা মাসেকা বেওয়াসহ (৫০) চারজন আসামি ছিলেন বলে জানিয়েছেন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা।
তিনি জানান, ২০০৫ সালে নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিলগ্রামের আক্কাস আলী প্রামানিকের মেয়ে শামিমা আক্তারের (২৪) বিয়ে হয়েছিল কুদ্দুসের। বিয়ের পর কুদ্দুস যৌতুকের জন্য তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। ২০১১
সালের ৪ নভেম্বর কুদ্দুস তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করেন। তবে এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন শামিমা আক্তারের বাবা আক্কাছ আলী। পরে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনেও হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। পরে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে কুদ্দুসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে
অভিযোগপত্র দেয়।
আদালতের পরিদর্শক খুরশীদা বানু কনা জানান, রায় ঘোষণার সময় চার আসামীকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।