ধারণা করা হয়েছিল লেবানন শক্ত প্রতিপক্ষ হবে বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে তেমন পাত্তাই পেলো না অতিথিরা। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের বাছাইয়ে ‘এফ’ গ্রুপে বাংলাদেশ দাপুটে ভঙ্গিতে খেলে তাদের উড়িয়ে দিয়েছে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। সাজেদা, তহুরা ও শামসুন্নাহারের জোড়া গোলে এসেছে এমন জয়।
বাছাই পর্বে টানা দ্বিতীয় জয় পেলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। এর আগে বাহরাইনকে ১০-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল মারিয়া-আঁখিরা। অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচ জেতা লেবানন তৃতীয় ম্যাচে এসে খেই হারালো বাংলাদেশের সামনে। পেলো প্রথম হারের স্বাদ। দু’দলের এখন সমান ৬ পয়েন্ট। তবে এক ম্যাচ কম খেলে ও গোল পার্থক্যে স্বাগতিকরা এখন শীর্ষে।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বুধবার প্রথমার্ধেই ৫-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। যদিও গোল উৎসব শুরু হয়েছে ১৪ মিনিট পর। মনিকার বাড়ানো বল গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন সাজেদা। ২০ মিনিটে ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। জটলার মধ্যে থেকে সাজেদার পাসে তহুরার শট গোলকিপারের গায়ে লাগার পর ডিফেন্ডার মারিয়া ইসলামের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।
তিন মিনিট পর আঁখি খাতুনের লম্বা করে বাড়ানো বল তহুরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনাকুনি শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন। ২৬ মিনিটে আবারো আঁখির বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডানদিক দিয়ে বক্সের ভিতরে ঢুকে কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আনাই মোগিনী।
৪০ মিনিটে আবারও আক্রমণে আসেন আঁখি। তার বাড়ানো বল থেকেই এসেছে পঞ্চম গোল। গোলকিপারের পাশ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেছেন সাজেদা। এই অর্ধে পাঁচ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে দুরন্ত গতিতে চলা মেয়েরা দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য ধরে রাখে। প্রতিপক্ষকে একেবারে কোণঠাসা করে রাখার ফলটা পায় এই অর্ধেও। ৪৭ মিনিটে তুলে নেয় ষষ্ঠ গোল। শামসুন্নাহার জুনিয়র গোলকিপারের পাশ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এবার। ৬৩ মিনিটে বাঁদিক থেকে বদলি খেলোয়াড় সুলতানার নিচু ক্রসে সাইড ভলিতে আবারও জাল কাঁপান শামসুন্নাহার জুনিয়র। ৭০ মিনিটে ইলা মনির মাইনাসে রোজিনা আক্তার প্লেসিং করলে স্কোর হয় ৮-০।