বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে পবিত্র আশুরা। কারবালার শোকাবহ ঘটনাবহুল এ
দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রিয় নবীজির (সঃ) নয়নের মনি প্রানপ্রিয় দৌহিত্র বেহেস্তের যুবকদের সরদার সাইয়েদুষ শুহাদা হযরত ইমাম হোসাইন (রাঃ) এর শাহাদাতে কারবালার স্মৃতি স্মরণে ১০ই মহরহম পবিত্র আশুরার এ হৃদয় বিদারক ঘটনা সুনিদশর্ণ স্মৃতি জাগ্রত রাখার উদ্দেশ্যে
বরাবরের মতো এবারও কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সিলেটের তরফ বিজয়ী হযরত শাহ জালাল রহ. এর সঙ্গী সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন রহ. এর বংশীয় ভাটির অলী বলে খ্যাত নয় কোষা জমিদারি ত্যাগী হযরত সৈয়দ আব্দুল করিম আল-হোসাইনী রহ. (আলাইশাহ রহ.) প্রায় দুশ বছর পূর্বে মহরমের শোঁক পালনের নিয়মে
প্রায় দুইশত বছর যাবত ভৈরবের ১৫ থেকে ২০টির অধিক ইমাম বাড়ায় পবিত্র আশুরা পালন করে আসছে।
বিশেষ করে এই ওলি অনুসারীরা প্রতি বছরেই প্রহেলা মহরমের হতে দশ মহরমর আশুরার দিন পযর্ন্ত ফরজ ইবাদত কায়েম রেখে অতিরিক্ত ১০ দিন রোজা রাখা,খালি পায়ে ও খালি মাথায় শোঁচ্ছন্ন অবস্থায় থাকা, মাটিতে শয়ন ও সাধরন কাপড় পরিধান করা, জীবন রক্ষায় যতটুকুন খাবার প্রয়োজন সেই মতে সাধারন মানের (নিরামিষ জাতিয়) খাবার খাওয়া,হোসাইনী মাকাম (স্মৃতি সৌধ) গুলো লালকালো পতাকায় সজ্জিত করে।
আশুরা উপলক্ষে প্রত্যেক ইমাম বাড়ায় শোকের মাতম ও কারবালার বয়ান, জারী মরছিয়া, দরুদ, মিলাদ, ফাতেহা, শোকগাতা ও শহিদের স্মৃতি বহনকারী পতাকাবাহিত তাজিয়া মিছিল চোখে পড়ার মত।
পাক পাঞ্জাতনের অনুসারী ও তরিকাপন্তি হোসাইনী প্রেমিকগণ লক্ষীপুর হোসাইনী মঞ্জীল সহ শহরের বিভিন্ন ইমাম বাড়া ও খানকা শরীফ থেকে তাজিয়া মিসিল সহকারে ইয়া হোসাঈন ইয়া হোসাঈন বলে মাতম করতে করতে ব্রক্ষপুত্র নদীর তীরে কারবালার নামক মাঠে প্রায় লক্ষাধিক লোকে সমাবেশ এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
Tags: