এশিয়া কাপের সুপার ফোরের লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে ৩ রানে হারিয়ে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ।
মাশরাফির কাছে বোল্ড হাসমতউল্লাহ
২৫০ রানের টার্গেট দিয়ে দুটি ফিফটিতে চাপে থাকা বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিলো। হুমকি হয়ে ওঠা হাসমতউল্লাহ শহীদীকে ৭১ রানে বোল্ড করেছেন মাশরাফি মুর্তজা। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ২৫০ রানের টার্গেটে নেমে ৪৪ ওভারে ৫ উইকেটে আফগানিস্তানের রান ১৯৩।
হাসমতউল্লাহর ৯৯ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার।
আফগানিস্তানের চতুর্থ উইকেট মাশরাফির
অস্বস্তি পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশকে। তারপরও আফগানিস্তানের আরেকটি পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি ভেঙে স্বস্তি ফিরিয়েছে তারা। মাশরাফি মুর্তজা তুলে নিয়েছেন চতুর্থ আফগান উইকেট।
হাসমতউল্লাহ শহীদীর সঙ্গে আসগর স্ট্যানিকজাইয়ের ৭৮ রানের জুটি ভেঙেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। স্ট্যানিকজাইকে ৩৯ রানে শর্ট থার্ড ম্যানে মাহমুদউল্লাহকে ক্যাচ বানান মাশরাফি। হাসমতউল্লাহ টানা ফিফটিতে অপরাজিত আছেন।
হাসমতউল্লাহর ফিফটিতে চাপে বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদকে ফেরানোর উল্লাস বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। হাসমতউল্লাহ শহীদীর হাফসেঞ্চুরিতে আবার চাপে তারা।
হাসমতউল্লাহ এই টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি করেন ৮০ বলে ৩টি চারে। অন্য প্রান্তে তার সঙ্গে আছেন অধিনায়ক আসগর স্ট্যানিকজাই।
মাহমুদউল্লাহর প্রথম ওভারেই বোল্ড শাহজাদ
মাহমুদউল্লাহ বল হাতে নিয়েই বাংলাদেশের প্রতিবন্ধকতা দূর করলেন। প্রথম ওভারেই তিনি তৃতীয় উইকেট পেলেন দলীয় ৮৯ রানে মোহাম্মদ শাহজাদকে আউট করে।
সাকিব, মাশরাফি ও মিরাজদের বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন মোহাম্মদ শাহজাদ। বাংলাদেশের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান তিনি। এমন সময়ে মাহমুদউল্লাহকে বল হাতে দেন মাশরাফি। আর চতুর্থ বলেই বাজিমাত করলেন ব্যাট হাতে দারুণ ইনিংস খেলা এই অলরাউন্ডার। শাহজাদকে বোল্ড করলেন মাহমুদউল্লাহ। তার স্পিনে উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়েছিলেন আফগান ওপেনার। কিন্তু তার লেগ স্টাম্প ভেঙে দেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। ৮১ বলে ৮ চারে ৫৩ রান করেন শাহজাদ।
বাংলাদেশের বাধা শাহজাদ
২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর আফগানিস্তানের হয়ে প্রতিরোধ গড়েছেন মোহাম্মদ শাহজাদ। হাসমতউল্লাহ শহীদীকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে রেখেছিলেন আফগান ওপেনার। ৭৩ বলে ১৩তম ফিফটিও পেয়েছেন তিনি।
সাকিবের দুর্দান্ত থ্রোতে দ্বিতীয় উইকেট
রান আউট হয়ে দ্রুত ফিরতে হয়েছিল সাকিবকে। সেই দুঃখ কিছুটা হলেও হয়তো মিটলো রহমত শাহকে রান আউট করে। দুর্দান্ত থ্রোতে আফগান ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন সাকিব। যাতে বাংলাদেশ পায় দ্বিতীয় উইকেট।
নাজমুল ইসলামের বলে ড্রাইভ করেছিলেন মোহাম্মদ শাহজাদ। আফগান ব্যাটসম্যানের শটে রান নেওয়ার জন্য মাঝ ক্রিজে চলে গিয়েছিলেন রহমত। কিন্তু সাকিব বলটি ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করে অসাধারণ ফিল্ডিংয়ের পর সরাসরি থ্রোতে ভেঙে দেন স্টাম্প। জায়গায় ফিরে আসতে রহমত অনেক চেষ্টা করলেও সাকিবের চমৎকার থ্রোতে মাত্র ১ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে।
মোস্তাফিজের প্রথম আঘাত
বোলিংয়ে এসেই পেলেন সাফল্য। নিজের প্রথম বলেই উইকেট উৎসবে মাতলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে ইহসানউল্লাহর বিদায়ে আফগানিস্তান হারায় প্রথম উইকেট।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে করেছে ২৪৯ রান। এই পুঁজিতে বোলিংয়ে ভালো একটা শুরু দরকার ছিল টাইগারদের। মোস্তাফিজের সৌজন্যে যেটা পেল বাংলাদেশ। নিজের প্রথম বলেই তিনি ফিরিয়েছেন ইহসানউল্লাহকে। তার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে আফগান ব্যাটসম্যান ৮ রান করে পয়েন্টে ধরা পড়েন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে।
মাহমুদউল্লাহ-ইমরুলের ব্যাটে বাংলাদেশের ২৪৯
জ্বলে উঠলেন মাহমুদউল্লাহ। তার সঙ্গে ইমরুল কায়েস দেখালেন তার প্রয়োজনীয়তা। এই দুই ব্যাটসম্যানের হাফসেঞ্চুরিতে লড়াই করার মতো সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করেছে ২৪৯ রান।
আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ও দুর্ভাগ্যের শিকারে ৮৭ রান তুলতে বাংলাদেশ হারায় ৫ উইকেট। সেখান শুরু মাহমুদউল্লাহ-ইমরুলের প্রতিরোধ। ষষ্ঠ উইকেটে তারা যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ১২৮ রানের জুটি। তাতেই বাংলাদেশের সংগ্রহ অতদূর পর্যন্ত যায়।
চমৎকার ব্যাটিংয়ে মাহমুদউল্লাহ খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস। আর খেলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে দেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়ে যাওয়া ইমরুলকে তো আউটই করতে পারেননি আফগান বোলাররা। ৮৯ বলে হার না মানা ৭২ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি, যাতে ছিল ৬টি বাউন্ডারির মার।