কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শিশু পাচারকারী সন্দেহে ইয়াহিয়া নামে এক পাচারকারীকে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় আটক করেছে পুলিশ। এ সময় সারোয়ার হোসেন ও শাহিন মিয়া নামে জনাব আলী হাফিজীয়া মাদ্রাসার ২ শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শাহিনের গ্রামের বাড়ি ভৈরব উপজেলার শ্রী-নগর গ্রামে ও তার বাবার নাম ফরিদ মিয়া এবং সারোয়ারের বাড়ি শহরের চন্ডিবের গ্রামে ও তার বাবার নাম সোহেল মিয়া। পরে তাদের থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শহরের কমলপুর নিউটাউন এলাকা থেকে সন্দেহ জনক অবস্থায় শিশু পাচারকারী ইয়াহিয়াকে ২ শিশুসহ আটক করা হয়। পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। উদ্ধার হওয়া শিশু শাহিন ও সারোয়ার জানান তারা ২ জন শহরের ভৈরব বাজার জনাব আলী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
শনিবার দুপুরে তারা ২ জন দুপুরের খাবার খাওয়ার ফাকেঁ মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন । পরে ওইদিন রাতে ভৈরব রেলষ্টেশনে ইয়াহিয়ার সাথে দেখা হয়।ইয়াহিয়া তাদেরকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে তার বাসায় নিয়ে রাত্রিযাপন করেন।
পরদিন তাদেরকে নিয়ে রায়পুরায় যান সেখান থেকে তারা বাড়ি ফিরতে চাইলে ইয়াহিয়া তাদের ভয় দেখিয়ে আবারও ভৈরবে এনে তার বাসায় তালাবদ্ধ করে আটকে রেখে তাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে আরো টাকা চান।
পরে তারা কান্নাকাটি শুরু করলে তাদেরকে নিয়ে অন্যত্র যেতে চাইলে স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ে । এ বিষয়ে ইয়াহিয়া ২ শিশুকে তার ঘরে আশ্রয় দিয়েছেন এবং তাদেও দিয়ে একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার চাদা ও চাউল সংগ্রহের কথা জানান।
তিনি পাচারকারী নন বলে দাবী করেন এ বিষয়ে শাহিনের বাবা ফরিদ মিয়া জানান গত ৩ বছর যাবৎ শাহিন এ মাদ্রাসায় পড়া-লেখা করছে । আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি । কিন্ত গেল শনিবার থেকে তার শিশুসহ ২ শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মোখলেছুর রহমান জানান এলাকাবাসি শিশু পাচারকারী সন্দেহে ইয়াহিয়াকে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে । বিষয়টি যাচাই-বাচাই করা হচ্ছে।
Tags: