রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছেন, মিঠামইন আসলে শৈশবের কথা মনে পড়ে। আমি ছোটবেলায় খুব দুষ্টু ছিলাম। বাবার সঙ্গে মিঠামইনে আসতাম। বিভিন্ন হিন্দু বাড়িতে যেতাম। যেখানে পেয়ারা গাছ আছে, সেখানেই হানা দিতাম। এমনকি হিন্দু বাড়িতে গিয়ে রান্নাঘরে পর্যন্ত ঢুকে পড়েছি। এলাকার লোকজন বলতো, হাজী সাহেবের ছেলে একটা পাগল।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ উপজেলা কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজ মাঠে তাকে দেওয়া গণসংবর্ধনায় এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি নিজ উপজেলার মানুষের উদ্দেশে বলেন, আমি কখনো ভুলিনি, আমি কৃষক পরিবারের ছেলে। শুধু বলব, আমি আমার শেকড় ভুলতে পারব না। যারা শেকড় ভুলে যায়, তারা ভালো মানুষ হতে পারে না।
রাষ্ট্রপতি হাওরের ভৌগলিক অবস্থানের বর্ণনা দিতে গিয়ে আরও বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আপনাদের ভোটে আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। এ সময়ের মধ্যে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নীতকরণসহ সার্বিক উন্নয়নে কাজ করেছি। এখনো এ অঞ্চলের জীবনমান উন্নয়ন বাস্তবায়নের অনেক কাজ চলছে।
সামনে নির্বাচন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, যে দলকে ভোট দিলে এলাকার, দেশ ও দশের উন্নতি হবে, তাকেই ভোট দিন আপনারা। কোনো চোর, বাটপারকে ভোট দেবেন না। সৎ ও যারা অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেন না, আগামী নির্বাচনে তাদের বেছে নিন।
মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুস শাহিদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল আহসান শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক এমএ আফজল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মিঠামইন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩৩ থেকে ৫১ শয্যায় উন্নতিকরণসহ মোট ছয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
দুপুর আড়াইটায় রাষ্ট্রপতি নিজ উপজেলা মিঠামইনে পৌঁছে নতুন ডাকবাংলোয় গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। পরে দুপুর পৌনে ৪টায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। আগামী শুক্রবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রপতির বঙ্গভবনে ফেরার কথা রয়েছে।