muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

কিশোরগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম

কিশোরগঞ্জের তেরটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম। জেলার ১৩টি উপজেলায় ১ হাজার ৩শত ৮৯টি কেন্দ্রে ৪৫ হাজার ৮৫ জন শিক্ষার্থী ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করছে।

জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশক্ষা কার্যক্রম’ প্রকল্প ইসলামিক ফাউন্ডেশন-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৃহৎ প্রকল্প। এ প্রকল্পর ১ম পর্যায়ের গণশিক্ষা কার্যক্রম অনুযায়ী ১৯৯৩ সালে শুরু হয়ে ধারাবাহিকভাবে বর্তমান সময় পর্যন্ত (৬ষ্ঠ পর্যায়) চলমান রয়েছে। মূলত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও শিক্ষা বিস্তারের কাজে মসজিদের ইমামদেরকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সরকার মসজিদভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় প্রাক-প্রাথমিক এবং ঝড়ে পড়া (ড্রপ-আউট) কিশোর-কিশোরী ও অক্ষর জ্ঞানহীন বয়স্কদের জন্য মসজিদভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতায় পরিচালিত ‘মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রস্তাবিত ৬ষ্ঠ পর্যায় প্রকল্পে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ভর্তির হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারাদেশব্যাপী ৩২,০০০টি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪৪,১০,০০০ জন শিশু শিক্ষার্থীকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত কর্মসূচির আওতায় ১৩টি উপজেলায় ১ হাজার ৩শত ৮৯টি কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। ৬৮২টি প্রাক-প্রাথমিক ও গণশিক্ষা কেন্দ্রে ২০ হাজার ৪’শ ৬০জন শিক্ষার্থী, ৬৯৫টি সহজ কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রে ২৪ হাজার ৩’শ ২৫জন, ১২টি বয়স্ক কেন্দ্রে ৩০০জনসহ সর্বমোট ৪৫ হাজার ৮৫জন শিক্ষার্থী ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করছে। পাশাপাশি ১৩টি উপজেলায় ২৬টি দারুল আরকাম প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রতি বছর বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা স্থানীয় সরকারি প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হয়ে ভালো ফল করছে। এসব কেন্দ্রের শিক্ষকরা সামান্য সম্মানীর ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন। শিক্ষার মান উন্নয়নে ফাউন্ডেশন প্রতিমাসে শিক্ষকদের নিয়ে সমন্বয় সভার আয়োজন করায় সঠিক শিক্ষা পাচ্ছে এ অঞ্চলের শিশুরা।

বর্তমান সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মহিনন্দ গোয়ালা পাড়া প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক মোঃ আমিনুল হক জানান, সরকারের মহৎ উদ্যোগ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের কঠোর তদারকির কারণে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কর্মসূচীর কেন্দ্রগুলো থেকে প্রতিবছর মেধার বিকাশ ঘটছে।

কিশোরগঞ্জ ইসালামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মো: আবু সাঈদ জানান, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রাক প্রাথমিক কেন্দ্রগুলোতে ৬ বছরের নীচে শিশুদেরকে পাঠদান দেওয়া হয়ে থাকে। কোমলমতি শিশুরাই বেশি ভর্তি হয়ে থাকে। এটি সরকারের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এর মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষার প্রসার ঘটছে ।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসউদ জানান, বর্তমান সরকারের এটি একটি মহতী উদ্যোগ। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রাক-প্রাথমিকে সাধারণ পরিবারের শিশুদের মাঝে মানসম্মত শিক্ষা ও মেধার বিকাশ লক্ষ্য করা গেছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফারুক আহাম্মেদ জানান, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ দেশের শিক্ষা সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে যুযোপযোগী ভুমিকা পালন করে আসছে। এ প্রকল্পে মসজিদের ইমামগণ মসজিদ কেন্দ্রে শিশু ও বয়স্ক শিক্ষার্থীদেরকে বাংলা, অংক, ইংরেজি, আরবী নৈতিকতা ও মূল্যবোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দান করছেন। কিশোরগঞ্জের প্রত্যন্ত অ লের সুবিধাবি ত স্থানে এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তার ও কোর্স সম্পন্নকারীদের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার বৃদ্দির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হচ্ছে। এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী অধিকাংশই সমাজের অবহেলিত, দরিদ্র ও নিরক্ষর জনগোষ্ঠী। তিনি আরও জানান, কিশোরগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত কর্মসূচির আওতায় ১৩টি উপজেলায় ১ হাজার ৩শত ৮৯টি কেেেন্দ্র সর্বমোট ৪৫ হাজার ৮৫জন শিক্ষার্থী ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করছে। পাশাপাশি ১৩টি উপজেলায় ২৬টি দারুল আরকাম প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম সফলতার সহিত এগিয়ে চলছে।

Tags: