‘এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কয়েকবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সঙ্গে লড়াই করেছে। শেষ বল পর্যন্ত ঘাম ঝরিয়ে ভারতকে বিজয় দেখতে হয়েছে। বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আমরা ক্রিকেটে হেরে গেলাম। এ কারণে আজকে সবার মন খারাপ।’
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘রাস্তা অবরোধ করে কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সবার জন্য উন্মুক্ত। সেখানে প্রয়োজনে মুক্তমঞ্চ করে দেওয়ার কথাও বলেছেন। যার যা খুশি বলতে পারবেন। দরকার হলে আমরা মাইকও সেট করে দেব। কিন্তু রাস্তায় চেঁচামেচি করতে দেব না। আমরাও করব না, আপনাদেরও (বিএনপি) দেব না।’
সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টকশোর বিষয় হলো- সভা-সমাবেশের অনুমতি লাগবে কেন? উপস্থাপকও বলছেন অনুমতির কথা। কিন্তু এ সাবজেক্টটাই বা কেন? পুলিশের অনুমতি শুধু বিরোধী দল নয়, সরকারি দলকেও নিতে হয়। আমরা ক্ষমতাসীন দলও অনুমতি নিই। এটাই নিয়ম।’
পত্রিকার মালিক-সম্পাদকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার অনুরোধ, যা দেখবেন-শুনবেন তা-ই লিখবেন। গতকাল ১৪ দলের সমন্বয়ক আমাকে বলেছেন, তারা কর্মী সমাবেশ করছেন। কিন্তু আপনারা একে সমাবেশ বলছেন কেন? সমাবেশ বানিয়ে বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি তো আমরা করব না। পাল্টাপাল্টি করলে কি আমরা নাট্যমঞ্চে করব? এটা সমাবেশ নয়, এটা হচ্ছে কর্মী সমাবেশ। এসব বিষয় বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের নিচের সারির কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। দেশে এসে বলেছিলেন, জাতিসংঘ নাকি তাদের পক্ষে দাঁড়াবে। গতকাল শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, বাংলাদেশে আজ যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এজন্য শেখ হাসিনার সরকার ও জনগণের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সহযোগিতা করবেন।’