লাইফস্টাইল ডেস্কঃ গিজার কেনার প্রথম কথাটা হল, কখনওই নামগোত্রহীন ব্র্যান্ডের কিনবেন না। নামী কোম্পানি থেকে কিনলে ওয়্যারান্টি মিলবে। এগুলোর সুরক্ষা ব্যবস্থা ভাল। সবচেয়ে বড় কথা কোনও গড়বড় হলে সারানোর লোক পাবেন— সাধারণত ভাল ব্র্যান্ড।
• অনামী ব্র্যান্ডের গিজারগুলো কম দামে মেলে হয়তো। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই এদের BIS স্ট্যান্ডার্ড, BEE এনার্জি স্টার রেটিং থাকে না। বা হয়তো ISI -এর ছাপটাই থাকে না। বিশেষ করে গিজারের ট্যাঙ্কটা কী দিয়ে তৈরি, উল্লেখ না থাকলে কেনা ঠিক নয়। কারণ গিজারের ট্যাঙ্কটাই সব। উল্লেখ না থাকলে বুঝবেন মাইল্ড স্টিল বা অন্য কোনও ধাতুতে তৈরি ট্যাঙ্ক, যেটা সস্তা হলেও ইলেকট্রিকের বিল বাড়বে লাফিয়ে-লাফিয়ে।
•BEE-এর ফাইভ স্টার ছাপ দেওয়া গিজার কিনতে পারলে সবচেয়ে ভাল। বিদ্যুতের সাশ্রয় হবে।
•আপনার বাড়ি কোথায় তার উপরও নির্ভর করে কেমন গিজার কিনবেন। মূলত তিন ধরনের জল আমরা ব্যবহার করি — কলের জল (ফ্ল্যাট বাড়িতে), ক্ষর জল (শহরের আশপাশে) এবং লবনাক্ত জল (উপকূলবর্তী জায়গাতে)। যেখানে লবনাক্ত জল সেখানে আমাদের উচিত এমন গিজার ব্যবহার করা যার ট্যাঙ্কের বাইরেটা ফাইবার আর ভেতরের আবরণ সম্পূর্ণ তামার। তামার বিশেষ ক্ষয়-প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে যা গিজারের আয়ু বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া, তামা তাপপ্রবাহে সাহায্য করে বলে বিদ্যুতের সাশ্রয় হয়।
•গিজার কেনার আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি কী ধরনের বাড়িতে থাকেন এবং পরিবারে কতজন আছে। যদি আপনি অবিবাহিত হন, তবে আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল ইনস্ট্যান্ট গিজার। এক লিটার থেকে শুরু করে এটি সর্বোচ্চ ১০ লিটার পর্যন্ত হয়। খরচ কমাতে চাইলেও ইনস্ট্যান্ট গিজার ভাল।
•আপনি যদি নিজস্ব বাড়িতে বড় যৌথ পরিবারে থাকেন, তবে সবচেয়ে ভাল সোলার গিজার। এটি সৌরবিদ্যুতে চলে এবং পরিবেশ-বান্ধব। এক্ষেত্রে আপনি দিনে ১০০ লিটার পর্যন্ত গরম জল পেতে পারেন। তবে এর খরচ বেশি, আর আমাদের এখানে সহজলভ্য নয়।
•ফ্ল্যাট বাড়ি হলে ইলেকট্রিক গিজারই ভাল। চার জনের পরিবারে ভাল হয় ২৫ লিটারের মডেল। যদি সংসার হয় ছ’জনের, তবে ৩৫ লিটারের হলে চলবে।
•অটো কাট-অফ, থার্মাল কাট আউট, কপার হিটিং এলিমেন্ট, টু ইন ওয়ান প্রেশার কাম রিলিজ ভালভ ইত্যাদি আছে কি না দেখে নেবেন। তবে, ব্র্যান্ডেড গিজারগুলিতে এগুলো থাকেই। তাই আবার বলছি, অনামী ব্র্যান্ডের গিজার কিনবেন না। জানবেন, সস্তার তিন অবস্থা।