মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ গণতন্ত্রের নামে দেশে এখন দুঃশাসন চলছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ।
নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে সোমবার জেলা জাতীয় পাটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এরশাদ বলেন, ‘গণতন্ত্রের নামে বাংলাদেশ এখন দুঃশাসন আর বিচারহীনতার দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ এখন সত্যিকার গণতন্ত্র চায়।’
তিনি বলেন, প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও দুর্নীতি ছাড়া কোনো সুসংবাদ পাওয়া যায় না। দেশে চরম দুঃশাসন চলছে মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রকাশক দীপনের বাবা কেন তার যুবক সন্তানের হত্যার বিচার চান না তা আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে। বিচার পাওয়ার কোনো সম্ভবনা নেই বুঝতে পেরেই সন্তান হত্যার কষ্ট বুকে নিয়েও উনি বিচার চাননি।’
সরকারের একের পর এক ব্যর্থতা, দুঃশাসন ও দুর্নীতির কারণেই এমন হত্যাকাণ্ড বন্ধ হচ্ছে না বলেও মনে করেন তিনি।
এরশাদ বলেন, ‘মানুষ জানতে চায় দেশে এ সব কী হচ্ছে? কেন এমন হচ্ছে? আমরা কোনো উত্তর দিতে পারি না।’
এখনও প্রেসিডেন্ট পদ্ধতিতে ভোট দিলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে হারিয়ে তিনি বিজয়ী হবেন বলেও দুই নেত্রীর উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন।
নাটোর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাবেক এমপি মজিবুর রহমান সেন্টুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়া উদ্দিন বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের, সুনীল শুভ রায় প্রমুখ।
পরে মজিবুর রহমান সেন্টুকে নাটোর জেলা জাপার সভাপতি ও আলাউদ্দিন মৃধাকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে আগামী ১০দিনের মধ্যে জেলা জাতীয় পাটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেয়ার কথা জানান এরশাদ।