“উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ৩ দিন ব্যাপি ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার শেষ দিন শনিবার (৬ অক্টোবর) উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত মাদক, ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ বিরোধী এবং বয়ঃ সন্ধিকালে সমস্যা সমূহের ব্যবস্থাপনা বিষয়ক একটি ক্যাম্পেইন এ- উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউসার আজিজ প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, এ ক্যাম্পেইনে মাদক ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করলাম। আজকের পর থেকে এ উপজেলায় কোন বাল্যবিবাহ হতে দেওয়া হবে না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সহায়তায় মাদক নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জ্যোতিশ্বর পাল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দিলরুবা আক্তার, কুলিয়ারচর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ্ মোঃ ফজলুল হক, বেগম নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মতিয়ার রহমান, বেগম নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সালমা ও কুলিয়ারচর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র লাদেন। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি কাউসার আজিজ বাংলাদেশ এথলেটিক্্র ফেডারেশন কর্তৃক জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করায় কুলিয়ারচর সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আশিষ দেবনাথকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ দুই হাজার টাকা এবং জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ৪৭ তম গ্রীষ্মকালীন সাঁতার প্রতিযোগীতায় ২য় স্থান অর্জন করায় উপজেলার মুছা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ রিয়াদকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও নগদ দুই হাজার টাকা প্রদান করে। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে উন্নয়ন মেলায় বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুরে ধরার বিজয়ী দশটি স্টল সহ অর্ধশত স্টলের কর্মকর্তাদের হাতে বিজয়ী ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসের নাজির মোঃ রাফিউল হক।
গত (৪ অক্টোবর) বেলা ১১ ঘটিকায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন মেলা আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউসার আজিজ। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য উন্নয়ন শোভাযাত্রা বের করা হয়। উন্নয়ন মেলায় অর্ধশত স্টলে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাও অনুষ্ঠিত হয়।