রাত নামলেই ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়ক ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের দখলে চলে যায়। প্রতিদিনই কোন না কোন ডাকাত কিংবা ছিনতায়ের কবলে পড়তে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের। যার ফলে রাতে এই সড়কে যাতায়াত করতে গিয়ে যাত্রীরা থাকেন চরম আতঙ্কে।
স্থানীয়রা বলেন, এ সড়কটিতে নিয়মিত ছিনতাই, ডাকাতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ প্রশাসন আন্তরিক হয়ে নজরদারিতা বাড়িয়ে দিলে এই সড়কে ডাকাতি ও ছিনতায়ের ঘটনা ঘটার কথা নয়। সন্ধ্যার পর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটিতে একাধিক সংঘবদ্ধ ডাকাত দল বাস, ট্রাক, সিএনজি ও মটর সাইকেল থামিয়ে নিয়মিত ডাকাতি করে আসছে। আঞ্চলিক সড়কের ভৈরবের পানাউল্লার চর, কালিকাপ্রাসাদ, পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ি এবং কুলিয়ারচরের লক্ষ্মীপুর, বক্তর মারা ব্রীজ, নোয়াগাঁও বাসস্ট্যান্ড, দ্বাড়িয়াকান্দি ব্রীজ, কাঁঠালতলী, মনোহরপুর, বটতলা সহ আগরপুর নামক স্থানে ঘটে থাকে ডাকাতি ও ছিনতায়ের ঘটনা।
জানা যায়, এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১০ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে দৈনিক কালের কন্ঠের হাওড় অঞ্চল প্রতিনিধি নাসরুল আনোয়ার ভৈরব থেকে বাড়ি ফেরার পথে আঞ্চলিক সড়কের কুলিয়ারচর নোয়াগাঁও বাসস্ট্যান্ড পৌঁছা মাত্র মটর সাইকেলে এসে তিন ছিনতাইকারী তার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে তার নিকট থাকা একটি ডিএসএলআর নিকন ক্যামেরা, দুটি সীম সহ একটি এ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট, নগদ ১০ হাজার টাকা সহ একটি মানিব্যাগ, পত্রিকার আইডি কার্ড ও একটি এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয়। এ সময় নাসরুল আনোয়ার বাঁধা দিলে ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে।
ছিনতাইকারীরা নাসরুল আনোয়ারের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় টহল পুলিশের উপস্থিতি ঠের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। ইতিপূর্বেও এ আঞ্চলিক সড়কে অর্ধশতাধিক যাত্রী, দুইজন সংবাদ কর্মী ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে আহত সহ বেশ কয়েকটি খুন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সাংবাদিক নাসরুল আনোয়ার ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ার সত্যতা স্বীকার করে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নান্নু মোল্লা বলেন, এ সড়কটিতে নিয়মিত পুলিশের টহল চলছে। এলাকাটি চোর,ডাকাত ও ছিনতাইকারী ভরা। এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাত ও ছিনতাই কারীরা এসে এ রাস্তায় অঘটন ঘটিয়ে চলে যায়। অনেক চোর-ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের আটক করে জেলহাজতের পাঠানো হয়েছে।