কিশোরগঞ্জে একটি মসজিদের সিন্দুকের দানবাক্সে প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা জমা পড়েছে। এছাড়াও সোনা, রূপা ও বৈদেশিক মুদ্রাও জমা পড়েছে এ দান বাক্সে।
তিন মাস ছয় দিন পর শনিবার (১৩ অক্টোবর) মসজিদের ৫টি দানবাক্স খোলা হয়। এতে এবার সাম্প্রতিক সময়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টাকা পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের সাঈদ মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল থেকে শুরু হওয়া মসজিদের দান বাক্সের টাকা গননার কাজ শেষ হয়েছে। গননা করে সর্বমোট এক কোটি তের লক্ষ ছিয়ান্নবই হাজার ছয়শত পঁচাশি টাকা পাওয়া গেছে। এই টাকাগুলো পুলিশ পাহারায় রুপালী ব্যাংক জমা দেওয়া হয়েছে।
দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এ মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া টাকা মসজিদ কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়ে থাকে।
কিশোরগঞ্জের নরসুন্দা নদীর তীরে এ মসজিদের অবস্থান। মসজিদটি অনেক পুরোনো। এখানে জুমার দিন প্রচুর লোক সমাগম হয়। মসজিদে নারীরা আলাদা নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের সঙ্গে একটি মাদ্রাসাও রয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।