কিশোরগঞ্জের প্রাণপুরুষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সময়কালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের চার ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ব বিদ্যালয়ের ডিন সৈয়দ ড. শরীফুল ইসলাম, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মঞ্জুরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম। চার ভাইয়ের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদরের ভোটার ছিলেন দুইভাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম।
১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর জাতীয় চারনেতা হত্যার সময় বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে দীর্ঘদিন অতিবাহিত করেছেন চার ভাই। দুই ভাই বাংলাদেশের মাটিতে অবাধে বিচরণ করলেও সেই কষ্ট ভুলতে পারেননি সৈয়দ ড. শরীফুল ইসলাম ও সৈয়দ ড. মঞ্জুরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তি ক্ষমতায় থাকায় তারাও কষ্ট নিয়ে বিচরণ করেছেন। ৪৭ বছর পর কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার নিজ বাড়িতে ভোটার হলেন সৈয়দ নজরুলের দুই ছেলে।
ভোটার হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেন, নিজ বাড়ির আলো বাতাস পৃথিবীর সবচেয়ে সুখের বিষয়। সেটা ১৫ই আগস্টের ৩রা নভেম্বর আমাদেরকে বঞ্চিত রেখেছে। কিশোরগঞ্জ সদরের সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু যেমন আমার ভাই, তেমনি সদরের সকল প্রতিবেশীও আমার ভাই। আজ থেকে মনে অন্যরকম সুখ নিয়ে বেঁচে থাকবো সে কথা ভাষায় বুঝাতে পারছি না। শুধু এটাই বলবো আজ থেকে আমরাও মাতৃভূমি ও পিতৃভূমি কিশোরগঞ্জ সদরের ভোটার।