ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ তথা বিপিএল মাঠে গড়াবে জানুয়ারিতে। কিন্তু প্লেয়ার ড্রাফট হবে ২৮ অক্টোবর। তাইতো খুলনা টাইটান্সের কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে আগে-ভাগেই চলে এসেছেন ঢাকায়। কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা ও ছক সাজাচ্ছেন। বিপিএলের জন্য কিভাবে প্রস্তুত হচ্ছে খুলনা টাইটান্স?
মাহেলা জয়াবর্ধনে বলেন, ‘আমরা চারজন খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছি। সরাসরি দুইজন বিদেশি খেলোয়াড়কে দলে নিয়েছি। তাদের নিয়েই আমাদের ড্রাফটে যেতে হবে। সেখানে অন্যান্য খেলোয়াড় ও বিকল্প খেলোয়াড় নিতে হবে আমাদের। এবার যদিও বিদেশি খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। সেরা একাদশে চারজন বিদেশি খেলোনো যাবে। সুতরাং যখন আমরা খেলোয়াড় রিটেইন করি তখন ঘরোয়া খেলোয়াড়দের গুরুত্ব দিয়েই রেখেছি। কারণ, সাতজন লোকাল প্লেয়ার প্রয়োজন হবে একাদশ সাজাতে। সে কারণেই তিনজন লোকাল খেলোয়াড় আমরা রেখে দিয়েছি। আশা করছি ড্রাফটে আমরা আরো কিছু ভালো লোকাল খেলোয়াড় দলে টানতে পারব।’
শিরোপা জেতার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আসলে এই টুর্নামেন্টটা সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। গেল বছর আমি মনে করি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। যদিও নকআউট পর্বে খেলা হয়নি। আসলে সেটা সম্ভব হয়নি একটি ম্যাচের জন্য। আর এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গেইলের ব্যাট যদি হাসে তাহলে কিছু করার থাকে না। তবে তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা ভালো দল। তাদের নিয়েই এবারও আমরা আশাবাদী। শান্ত ও আরিফুল বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলছে। মাহমুদউল্লাহ টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আশা করছি ড্রাফটে আমরা শক্তিশালী একটি দল গড়তে পারব এবং বিপিএলে ভালো করতে কঠোর পরিশ্রম করতে পারব।’
বিপিএলে মাঠে গড়াবে জানুয়ারিতে। আর প্লেয়ার ড্রাফট হবে অক্টোবরে। এতে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা? মাহেলা বলেন, ‘আসলে বিষয়টা চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে। গেল বছর আমাদের সামনে সুযোগ ছিল যত খুশি বিদেশি খেলোয়াড় দলে ভেড়ানোর। সে কারণে অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি বিদেশি খেলোয়াড়দের কিনে আটকে রেখেছিল। অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিরা যাতে কিনতে না পারে। এবার আটজনের বেশি নেওয়া যাবে না। তাতে করে ড্রাফটে অনেক বিদেশি খেলোয়াড়রা থাকবেন যাদের অন্যরা নিতে পারবে। আসলে জানুয়ারিতে হওয়ায় হয়তো কিছু খেলোয়াড়কে আমরা পাব না। কিছু খেলোয়াড়কে পাব। এটা মেনে নিয়েই খেলতে হবে। আর নির্বাচন তো প্রতিবছর হবে না। আমরাও বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’