এটা কি দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা? নাকি সিরিজ নিশ্চিতের পর যারা খেলেননি, তাদের বিশ্রাম দেয়া? তা নিয়ে একটা ছোট-খাটো বিতর্ক হতেই পারে। তবে শেষ কথা হলো, আগামীকাল শুক্রবার সাগরিকায় (জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে) বাংলাদেশ লাইনআপে আসছে বড়সড় পরিবর্তন।
যদিও বুধবার রাতে খেলা শেষ হওয়ার পর থেকেই শোনা যাচ্ছে যারা খেলেননি তাদের খেলানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি। আচ্ছা কাল শেষ ম্যাচে কি একাদশে পরিবর্তন আনা হচ্ছে? আজ দুপুরে অধিনায়ক মাশরাফির কাছেও রাখা হয়েছিল এ প্রশ্ন।
উত্তর দিতে গিয়ে মাশরাফি অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যার পুরোটাই ভাববাচ্যে। একবারের জন্য বলেননি, অমুককে ড্রপ বা তমুককে বিশ্রাম দেয়া হচ্ছে, তার বদলে ‘ওই খেলোয়াড়’ খেলবে। তবে তার মুখ থেকে তিনজন ক্রিকেটারের নাম উচ্চারিত হয়েছে।
‘যেমন আরিফকে একটি সুযোগ অবশ্যই দেয়া যায়। আবু হায়দার রনি আছে। এছাড়াও রুবেল নিজেকে প্রমাণ করেছে, সেও আছে। কাজেই তাকে পরখ করে দেখার কিছুই নেই। শান্ত যদিও এশিয়ার কাপের মতো বড় মঞ্চে পরপর তিনটি সুযোগ পেয়েছে। হয়তো সামনেও পাবে।’
মাশরাফির দুপুরে দেয়া এ ইঙ্গিত বিকেল-সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামতেই ধ্বনিত হলো প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল অবেদিন নান্নুর মুখেও। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে জাগো নিউজের সাথে আলাপে প্রধান নির্বাচক জানিয়ে দেন, ‘এখন পর্যন্ত তিনটি পরিবর্তন মোটামুটি নিশ্চিত। ফজলে রাব্বি, মেহেদি হাসান মিরাজ আর মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্রামে। তারা খেলবে না। তার বদলে নাজমুল হোসেন শান্ত, আরিফুল হক আর আবু হায়দার রনি খেলবে।’
এর বাইরে প্রধান নির্বাচকের মুখে শোনা গেল আরও একটি ইঙ্গিতপূর্ণ কথা। তাহলো- ‘এখন পর্যন্ত তিনজন মোটামুটি নিশ্চিত। এখন পর্যন্ত মানে এখানে আরও সংযোজন হতে পারে। দেখা যাক আরও কাউকে বিশ্রাম দেয়া হয় কি না?’