২০১৪ সালে অভিষেক হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৩৫টি ওয়ানডে খেলেছেন সৌম্য সরকার। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের একমাত্র সেঞ্চুরিটি এসেছিল আজ থেকে সাড়ে তিন বছর আগে। ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে করেছিলেন অপরাজিত ১২৭ রান। এরপর মাঝে কেটে গেছে সাড়ে তিনটি বছর। অফ ফর্ম ও খেলার সুযোগ না পাওয়ায় নিজেকে সেভাবে আর মেলে ধরতে পারেননি সৌম্য। অবশেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগালেন। তুলে নিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। অবশ্য নিজের আগের সেঞ্চুরিটিকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি।
১১৭ রান করে জিম্বাবুয়ের পার্ট টাইম বোলার হ্যামিল্টন মাসাকাদজার বলে ডোনাল্ড ত্রিরিপানোর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। মাত্র ৯২ বল খেলে ৯টি চার ও ৬ ছক্কায় এই ইনিংসটি সাজান তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচেও সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াডে ছিলেন না। বাংলাদেশের সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর তৃতীয় ওয়ানডের স্কোয়াডে যুক্ত করা হয় তাকে। খুলনা থেকে ঢাকা, এরপর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম। আজ শুক্রবার মাঠে নেমে করলেন সেঞ্চুরি। এ যেন আসলেন, খেললেন আর সেঞ্চুরি করলেন।
অবশ্য সম্প্রতি সৌম্য সরকার ছুটছেন তো ছুটছেন। সেই এশিয়া কাপ থেকে শুরু। এশিয়া কাপের দলে জায়গা হয়নি সৌম্য সরকারের। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া তখন খুলনায় বিসিবি লাল ও বিসিবি সবুজ দলের মধ্যকার চারদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে করলেন ৪৮ রান। ওদিকে এশিয়া কাপের টপ অর্ডাররা ব্যর্থ। খুলনা থেকে ডাক পড়লো সৌম্য সরকার আর ইমরুল কায়েসের। ম্যাচের তৃতীয় দিন তখন। পরের দিন সকালে খুলনা থেকে বিমানযোগে ঢাকা। সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে দুবাই, দুবাই থেকে আবুধাবি।
এশিয়া কাপ শেষ করে ঢাকায় ফিরলেন। এশিয়া কাপের অনেকেই তখন বিশ্রামে। কিন্তু খেলার তাড়া ছিল সৌম্যের। পরদিনই দৌড় দিলেন রাজশাহীতে। জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে খেললেন। খুলনার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন সেঞ্চুরি। অপরাজিত ছিলেন ১০৩ রানে।
সেখান থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড খেলতে এলেন খুলনায়। এর মধ্যে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল ঘোষণা হল। নেই সৌম্য। খেলতে নামলেন জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ডে। ম্যাচের উভয় ইনিংসে ফিফটি প্লাস রান পেলেন। প্রথম ইনিংসে করলেন ৭৬ রান। আর দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসলো ৭১ রান। শুধু ব্যাটিং না বোলিংয়েও চমক ছিল সৌম্যের। ম্যাচে ৫ উইকেট নেন তিনি। হঠাৎ করে তৃতীয় ওয়ানডের জন্য আবারও ডাক পড়ে সৌম্যর। তৃতীয় ওয়ানডের একাদশেও সুযোগ পান। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে তোলেন ২২০ রান। তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিও।