করিমগঞ্জে নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর উদ্বোধন করলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।
আজ শনিবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় করিমগঞ্জ-তাড়াইলের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এ ভবনের উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
উদ্বোধন শেষে তিনি নবনির্মিত ভবনটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী মহোদয় বলেন- ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার রোমগুলো বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে ভাড়া দেয়ার ক্ষেত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবারের সদস্য ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
পরে নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সুলতানার সভাপতিত্বে স্বাধীনতা-৭১ ভাস্কর্য চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অথিতি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু এমপি। আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন করিমগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সরকার জাহাঙ্গীর সিরাজী।
আরও বক্তব্য রাখেন- করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খাঁন দিদার, করিমগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল কাইয়ূম, করিমগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী মামুন, করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলোয়ারা বেগম, কিশোরগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার আসাদুল্লাহ, কিশোরগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডিপুটি কমান্ডার বাসিরউল্লাহ ফারুকী , দেহুন্দা ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার, দেহুন্দা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জান সঞ্জু, কিরাটন ইউপি চেয়ারম্যান ইবাদুর রহমান শামীম, গুজাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও করিমগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের জামিল আনসারি প্রমূখ।
এসময় করিমগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক মশিউর রহমান বাবুলের নেতৃত্বে করিমগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের পক্ষ থেকে প্রধান অথিতিকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
মুজিবুল হক চুন্নু এমপি উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার বর্গের উদ্দেশ্যে বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান কখনও ভুলতে পারবেন না আর ভুলার কথাও না। আজকে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। আমার খুব ইচ্ছে ছিল, খুব খায়েশ ছিল-আমি যদি সুযোগ পাই তাহলে আমার এলাকায় একটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করব। এ খায়েশ আমার পূরণ হয়েছে, এটা আমি করিনি, এটি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী পূরণ করেছে আর এই স্বাধীনতা ৭১ ভাস্বকর্য দেখছেন এটি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী করেননি, আমি করেছি, এটি আমার স্বপ্ন। করিমগঞ্জ তাড়াইলে দুটি স্বাধীনতা-৭১ ভাস্কর্য জাতির জনক, সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ ও তিনজন মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য আমার মাথা থেকে আমার প্রয়াসে জেলা পরিষদের উন্নয়নের বাজেট থেকে বাস্তবায়ন করেছি। এতে নতুন প্রজন্মরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এর চেতনা বয়ে নিয়ে যাবে।
এছাড়াও এ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু করিমগঞ্জ পৌর যুবলীগের কার্যালয় ও বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম সিরাজুল হক চেয়ারম্যান স্মৃতি স্মরণে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন।