ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিচ্ছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু পেরে ওঠেননি শেষপর্যন্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের তুরুপের তাস মারলন স্যামুয়েলসের বোলিংয়ে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরার পর আর জিততে পারেনি ভারত।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৩ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের করা ২৮৩ রানের জবাবে ২৪০ রানের অলআউট হয়ে গিয়েছে ভারত।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে স্বাগতিকরা। এর মাঝে ব্যতিক্রম ছিলেন অধিনায়ক কোহলি। ক্যারিয়ারের ৩৮তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১০৭ রানে আউট হন তিনি। এছাড়া শিখর ধাওয়ান ৩৫, রিশাভ পান্ত ২৪ ও আম্বাতি রাইডু করেন ২২ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ৪২তম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন স্যামুয়েলস। কোহলিসহ মোট তিন উইকেট নেন তিনি। এছাড়া অ্যাশলে নার্স, জেসন হোল্ডার ও ওবে ম্যাকয় নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ব্যাটিংয়ে নেমে অল্পেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার চন্দরপল হেমরাজ (১৫) ও কিরন পাওয়েল (২১) ও তিন নম্বরে নামা মারলন স্যামুয়েলস (৯)।
চতুর্থ উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন আগের ম্যাচের দুই নায়ক হোপ এবং হেটমায়ার। দলীয় ১১১ রানের মাথায় ৩৭ রানে ফেরেন হেটমায়ার। রভম্যান পাওয়েলও ফিরে যান অল্পেই। ১২১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
ষষ্ঠ উইকেটে অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের সাতে ৭৬ রানের জুটি গড়েন হোপ। তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশত। দলীয় ১৯৭ রানের মাথায় ৩২ রান করে ফেরেন হোল্ডার। ২২৭ রানের মাথায় ফিরে যান হোপও। মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ৬ চার এবং ৩ ছক্কার মারে ১১৩ বলে ৯৫ রান করেন তিনি।
শেষ দিকে অ্যাশলে নার্স ৪ চার ও ২ ছক্কার মারে মাত্র ২২ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেললে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। জাসপ্রিত বুমরাহ ৪ ও কুলদ্বীপ যাদভ নেন ২ উইকেট।