muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

উত্থাপন কাস্টমস বিল

পণ্য বাজেয়াপ্তের বিধান রেখে উত্থাপিত হয়েছে কাস্টমস আইন ২০১৮।

শনিবার জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে এক মাসের মধ্যে অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরিত হয়।

কাস্টমস ঘোষিত রুট ও বন্দর ছাড়া অনির্ধারিত রুট ও স্থানে আমদানিকৃত পণ্য খালাস বা একইভাবে কোনো পণ্য রপ্তানি করার চেষ্টা হলে সেসব পণ্য বাজেয়াপ্ত ও পণ্যমূল্যের দ্বিগুণ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়া শুল্ক ও কর ফাঁকির উদ্দেশ্যে ওয়ারহাউস সুবিধার অপব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট পণ্য বাজেয়াপ্ত করাসহ সর্বোচ্চ ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও শুল্ককরের দ্বিগুণ জরিমানা আদায়ের বিধান রাখা হয়েছে। একইভাবে শুল্ক পরিশোধ ছাড়া পণ্য খালাসে সহায়তা করলে একই দণ্ড আরোপের বিধান রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বিলে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তাকে সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা চোরাচালানে জড়িত সন্দেহে কোনো ব্যক্তিকে পরোয়ানা ব্যতিত তল্লাশি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চোরাচালান নিরোধে কাস্টমস কর্মকর্তা বা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যকে চোরাচালানের অভিপ্রায়ে সম্পৃক্ত কোন সংকেত বা সংবাদ কোন যানবাহন বা গৃহে প্রস্তুত হচ্ছে তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করতে পারবেন।

বিলে পণ্য বাজেয়াপ্তি বা জরিমানা আরোপের পূর্বে এই আইনের অধীন কোন কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করা যাবে না। জরিমানা ও সর্বোচ্চ দণ্ডের পরিমাণ কাষ্টমসের কর্মকর্তা বা বিচারক কর্তৃক নির্ধারিত হবে। এজন্য আইনে কাস্টমস হাউস বা ক্লিায়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি কমিশনার সহকারী কমিশনার সর্বোচ্চ পরিমাণ জরিমানা আরোপ করতে পারবেন। এছাড়া দুই লাখ টাকা থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায়ের ক্ষমতা আইনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

Tags: